২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কেন গোলাপিতে সেজেছিল গ্র্যামি?

বিলি পোর্টারের মতে, গোলাপিতে সেজেছিল এবারের গ্র্যামি। মার্কিন এই সংগীতশিল্পী কথাটা ভুল বলেননি। এপ্রিলের শুরুতে লাস ভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন অ্যারেনায় বসেছিল বিশ্বসংগীতের সর্বোচ্চ আসর। ৬৪তম ‘গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড’। এ বছর গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের রেড কার্পেটজুড়ে ছিল গোলাপির জয়জয়কার।
১ / ৭
২৮ বছর বয়সী মার্কিন র‌্যাপার সুইটি হাজির হয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত ইতালীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ভ্যালেন্তিনোর স্প্রিং কালেকশনের থ্রি-পিসে। সেই থ্রি–পিসে বো-অ্যাডোর্নড মিনি টপ ড্রেস, অপেরা-লেংথ গ্লাভসের সঙ্গী হয়েছিল এ লাইন স্কার্ট। আর পুরোটাই ছিল হট পিংকে আচ্ছাদিত।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
২ / ৭
৫২ বছর বয়সী মার্কিন অভিনেতা বিলি পোর্টারও হাজির হয়েছিলেন ভ্যালেন্তিনোর স্প্রিং কালেকশনে। হট পিংক শার্টের সঙ্গে ছিল লম্বা ট্রেন ম্যাচিং ট্রাউজার্স। ৩৯ বছর বয়সী মার্কিন সংগীত তারকা সেন্ট ভিনসেন্ট হাজির হয়েছিলেন গুচির ভলুমিনাস রাফেলসে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৩ / ৭
অন্যদিকে ২৯ বছর বয়সী মার্কিন সংগীত তারকা, ড্যান্সার ও অভিনেত্রী টিনাশে বেছে নিয়েছিলেন জিসিডিএসের গোলাপি লেটেক্স
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৪ / ৭
৪৬ বছর বয়সী মার্কিন সংগীত তারকা ট্র্যাভিস বার্কারের পরনে ছিল গোলাপি গিভেঞ্চি ব্লেজার। এই অদ্ভুত লুকের ব্লেজারের নিচে ছিল স্ত্রী কোর্টনি কার্ডাশিয়ানের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কালো রঙের পোশাক
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৫ / ৭
২৮ বছর বয়সী কানাডীয় সংগীত তারকা জাস্টিন বিবার হাজির হয়েছিলেন ওভারসাইজ ব্যালেন্সিয়াগা স্যুটের সঙ্গে মাথায় গোলাপি বিনি (একধরনের টুপি) পরে। স্ত্রী মডেল হেইলি বল্ডুইন পরেছিলেন অফ হোয়াইট স্লিক ড্রেস। এই জুটির জন্য রাতটা ছিল একটা ফ্যাশনেবল ডেট নাইট
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৬ / ৭
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ট্রেভর নোয়া বেছে নিয়েছিলেন গুচির একটি বেবি-পিংক টাক্সিডো
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্নটা সেখানেই। অ্যাওয়ার্ড শো মানেই রংবেরঙের বাহারি ফ্যাশন শো। নিজেদের ড্রেসআপের ব্যাপারে বরাবরই খুঁতখুঁতে তারকারা। তাঁদের একেকটি পোশাক ফ্যাশনের নতুন ট্রেন্ড তৈরি করতে যথেষ্ট। সেখানে গ্র্যামির ৬৪তম আসরে যখন কমবেশি সব সংগীত তারকাই একই রঙে রাঙা, তখন তো সবার চোখ সেদিকে দিতে বাধ্য। গোলাপিকে বলা হয় সুস্বাস্থ্য ও আনন্দের রং। দুই বছর ধরে পৃথিবীর মানুষের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে একের পর এক প্রাণঘাতী আঘাত। প্রথমে মহামারি, এরপর যুদ্ধ—বিশ্বজুড়েই চলছে অস্থিতিশীল অবস্থা।

পৃথিবীর এই অবস্থা থেকে অ্যাওয়ার্ড শোগুলো যেন একটুখানি শান্তির পরশ। ছোট স্ক্রিনে বিশ্বখ্যাত তারকাদের একসঙ্গে দেখা, হাসি-মজায় মেতে ওঠা অনেককেই দিয়েছে স্বাভাবিকতার স্বস্তির সুবাতাস। মুখে ফিরিয়ে দিয়েছে হাসি। কিন্তু সেখানেও অপ্রীতিকর ঘটনার শেষ নেই। গ্র্যামির এক সপ্তাহ আগে হয়ে যাওয়া অস্কারে স্টেজে উঠে চড় মারার মতো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন উইল স্মিথ। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ প্রায় সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সে ব্যাপারে ছিল সরব। যার ছোঁয়া পড়েছে তারকাদের মধ্যেও। সব মিলিয়ে আশপাশের সব ঘটনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার জন্য গ্র্যামির মঞ্চ ছিল উপযুক্ত একটা জায়গা। এ ছাড়া পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গোলাপিকে ধরা হয় নারীর রং। আর নীলকে বলা হয় পুরুষালি রং। সেই ধারণাকে গুঁড়িয়ে নারী–পুরুষনির্বিশেষে পরেছেন গোলাপি পোশাক।

৭ / ৭
বলতে গেলে পুরো অনুষ্ঠানই ছিল গোলাপি আভায় আচ্ছাদিত
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

কিন্তু আশপাশের সব ঘটনার সঙ্গে গোলাপির সম্পর্কটা কোথায়? বহু মনোবিজ্ঞানীর মতে, উজ্জ্বল রং মানুষের মনে ডোপামিন তৈরি করে। আর ডোপামিন মানুষের মন ভালো করতে সাহায্য করে। আর উজ্জ্বল রঙের তালিকায় সবার আগে থাকবে গোলাপির নাম। হট পিংক উজ্জ্বলতম রং। এই রং কেবল মনকে শান্তই করে না, মানুষের মনে আনন্দেরও জোগান দেয়। বিজ্ঞানীদের মতে, রঙের ভেতর ‘বেকার-মিলার পিংক’ বা ‘হট পিংক’ মানুষের মনকে শান্ত করতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে।
কাকতালীয় হোক আর উদ্দেশ্যমূলক, তারকাদের এভাবে একসঙ্গে এক রঙে রাঙাতে দেখা যায় না বললেই চলে। নীরব প্রতিযোগিতা চলে সবার মধ্যে ব্যতিক্রম ফ্যাশনে কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন। সেখানে গ্র্যামির মতো মঞ্চে অনেককে এক রঙে দেখতে পাওয়া বিশেষ ব্যাপারই বটে!