পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। তাঁর মেয়ে নুজহাত খান, পারসোনার পরিচালক। আজ দুই প্রজন্মে থাকছে এই মা-মেয়ের পছন্দ-অপছন্দের কথা।
১. প্রিয় পোশাক
কানিজ আলমাস খান: শাড়ি। যদিও বেশির ভাগ সময় সালোয়ার–কামিজ পরা হয়।
মেয়ে: আমার প্রিয় ঐতিহ্যবাহী শাড়ি। আরামের জন্য বেছে নেই জিনস, টপ, ফতুয়া, কুর্তা।
২. কী খেতে ভালো লাগে?
কানিজ আলমাস খান: থাই খাবার।
মেয়ে: ভাতের সঙ্গে যেকোনো ভর্তা, তরকারি। পোলাও, তেহারিও খুব প্রিয়।
৩. প্রিয় সিনেমা
কানিজ আলমাস খান: রোমান হলিডে, সাউন্ড অব মিউজিক।
মেয়ে: আয়নাবাজি, ম্যারি পপিনস ও আন্দাজ আপনা আপনা। সুপার হিরোভিত্তিক যেকোনো সিনেমা দেখা হয় বেশি।
৪. কার গান ভালো লাগে?
কানিজ আলমাস খান: অরিজিৎ সিং, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী ও কুমার বিশ্বজিতের গান।
মেয়ে: সোনা মহাপাত্র, নুরান সিস্টার্স ও পাপন।
৫. প্রসাধনের ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ড?
কানিজ আলমাস খান: ববি ব্রাউন ও ম্যাক।
মেয়ে: ইদানীং হুদা বিউটি বেশ ভালো লাগছে।
৬. যে উপহার পেতে ভালো লাগে?
কানিজ আলমাস খান: যেকোনো উপহার পেতেই ভালো লাগে। আমাকে মনে করে কেউ কিছু দিয়েছে, তাতেই খুশি হয়ে যাই।
মেয়ে: সুগন্ধি।
৭. কোথায় বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন?
কানিজ আলমাস খান: আমাদের পুরো পরিবার ঘুরতে খুব পছন্দ করে। সময় পেলেই আমরা বেরিয়ে পড়ি। যেকোনো জায়গা হলেই হয়। তবে সুইডেনের স্টকহোমে বোনের বাসায় ঘুরতে যেতে বেশি ভালো লাগে।
মেয়ে: যেকোনো জায়গায়।
৮. প্রিয় রং
কানিজ আলমাস খান: সাদা, কালো ও লাল।
মেয়ে: কালো, হলুদ ও ধূসর।
৯. পরস্পরের ভালো–মন্দ দিক?
কানিজ আলমাস খান: আমার মেয়ে নিজের কাজটুকু ঠিকমতো করে, মানুষকে ভালোবাসতে পারে, মিশতে পারে। এটা ওর ভালো দিক। পছন্দ না হলে কাজ করতে চায় না। সহজে মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে, ঠকে যায়। এটা ওর ঠিক করা প্রয়োজন।
মেয়ে: মায়ের সবই ভালো। মানুষ খুব ভালোবাসে। সবার প্রতিই খুব স্নেহশীল। মায়ের হাতের রান্না খুব ভালো। আজকাল খুব একটা রান্না করে না। আর মানুষকে না বলতে পারে না। এটা বদলাতে পারলে ভালো হয়।
সাক্ষাৎকার: তৌহিদা শিরোপা