উইন্টার ফরমালে ছেলেদের সাজ

কাজের ধরন অনুযায়ী এখন নির্ধারিত হয় পোশাক
ছবি: ক্যাটসআই

একটা সময় অফিস লুক বলতেই ফরমাল পোশাককে বোঝানো হতো। এ ধারায় এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। কাজের ধরন অনুযায়ী এখন নির্ধারিত হয় পোশাক। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বিকল্প নেই বললেই চলে। আবার অনেক পার্টি এবং মিটিংয়েও থাকতে হয় ফরমাল। এ জন্য পোশাকের ডিজাইন থেকে শুরু করে লক্ষ রাখা চাই কাপড়ের মান এবং রঙেও। যদিও তা ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ভিন্ন। তবে সবার আগে যা প্রাধান্য পায়, তা হচ্ছে ঋতু। শীতে এবং গ্রীষ্মে ফরমালের ধরন আলাদা। শীতে ব্লেজার, জ্যাকেট, কটি বা স্যুট—এগুলো ফরমাল বা সেমিফরমাল পোশাক হিসেবেই বেশি প্রচলিত। ফরমালের ক্ষেত্রে টেইলার মেড পোশাকই শ্রেয়। পোশাক তৈরি করিয়ে নেওয়ার আগে এ জন্য অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। ফরমাল মানে একদম টিপটপ ফিটফাট হওয়া চাই। তাই দরজির ওপর সব ছেড়ে দিলে চলবে না। খেয়াল রাখতে হবে ট্রেন্ডি কাট বা প্যাটার্নে। শার্ট-প্যান্টের ডিজাইন দরজিকে বুঝিয়ে দিতে হবে ভালো করে।

ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি

ব্লেজার, স্যুটের বেলায় ভালো ফিনিশিং দেখে নিতে হবে
ছবি: ক্যাটসআই
  • শার্ট বেশি ঢিলেঢালা যেমন মানানসই নয়, তেমনি বেশি ফিটেডও নয়। এখানে ফ্যাশনের চেয়ে স্টাইলকে প্রাধান্য দিতে হবে। সঙ্গে স্বচ্ছন্দ ও আরাম অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচ্য। শার্টের সঠিক ফিট পেতে সবার আগে ঠিক রাখতে হবে শোল্ডারের মাপ। শোল্ডার এবং আর্মহোলের সেলাই যথাস্থানে রাখতে হবে। নিচে নামিয়ে ফেলা যাবে না ।

  • হাতা ফিটিং না হলে ফরমালে পরতেই পারবেন না।

  • শার্টের টপ স্টিচ (ওপরের যে সেলাইগুলো দেখা যায়। যেমন সাইডের সেলাই, কাঁধের সেলাই, প্লাকেটের সেলাই ইত্যাদি) যেন অবশ্যই আঁকাবাঁকা না হয়।

সময় এখন চিনোজের মতো স্লিম কাট, ট্রাউজার কাট এবং সেমি ন্যারো কাটের
ছবি: ক্যাটসআই
  • বাটন ভালো মানের হওয়া চাই।

  • শার্টে ব্যবহৃত ইন্টারলাইনিং (বখরম) অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে। আর তা শার্টের কাপড়ের সঙ্গে মানানসই হওয়া চাই।

  • প্যান্টের প্লিট এখন ফ্যাশনের বাইরে। বা সর্বোচ্চ একটা কুঁচিতেই মানানসই।

প্যান্ট গাঢ় হলে শার্ট হতে হবে হালকা রঙের
ছবি: ক্যাটসআই
  • প্যান্টের পকেট ওপেনিং, বেল্ট লুপের মতো জায়গায় টাক সেলাই দিচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে। এসব জায়গায় টাক না দিলে কদিন পরই ওই জায়গা থেকে সেলাই খুলে বা ছিঁড়ে যাবে।

  • শেপ পুরো প্যান্টের চেহারা পরিবর্তন করে দেয়। সময় এখন চিনোজের মতো স্লিম কাট, ট্রাউজার কাট এবং সেমি ন্যারো কাটের।

  • ব্লেজার, স্যুটের বেলায় ভালো ফিনিশিং দেখে নিতে হবে।

শার্টের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে হবে প্যান্টের রং। শার্ট যদি গাঢ় রঙের হয়, তাহলে প্যান্ট হালকা হতে হবে। একইভাবে প্যান্ট গাঢ় হলে শার্ট হতে হবে হালকা রঙের। অফিসে হলুদ, কমলার মতো রং না পরে যাওয়াই ভালো। অন্যান্য অনুষঙ্গের মধ্যে বেল্ট জুতা জরুরি। এ ক্ষেত্রে বেল্টের সঙ্গে মিল রেখে জুতা নিতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই দুই টোর ডিজাইনই মার্জিত হওয়া।

টাই বেশি রঙচঙা না হওয়াই ভালো
ছবি: ক্যাটসআই

টাই বাছাইয়ের আগে

প্রয়োজন হলে টাই পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে টাই বাছাই জরুরি। তবে বেশি রঙচঙা না হওয়াই ভালো। তবে কিছু নট আছে, সেগুলো শিখে নিলে মন্দ হয় না।

  • উইন্ডসর গিঁটে টাই বাঁধলে তা বেশ পরিপাটি লুক দিতে পারে।

  • কাছাকাছি লুকেরই হাফ-উইন্ডসর গিঁট।

  • প্রাট, ফোর ইন হ্যান্ড অথবা সেলবি গিঁট যেমন সহজ, তেমনি ব্যবহার বেশি।

  • গিঁট ছোট করে ফেলুন। এতে অনেক দিন যাঁরা একটু লম্বা গিঁটে পরছেন, তাঁদের লুকে ভিন্নতা আনবে।

  • গিঁটের এক পাশ একটু বেশি বাড়ানোর মতো একটা আলাদা ভাব থাকে কেলভিন গিঁটে।

  • এলড্রেজ গিঁটে যেমন প্যাচের ব্যাপার বেশি, তেমনই দেখতে তা সম্পূর্ণ আলাদা। এ ধরনের গিঁটে টাইয়ের বন্ধনটা দেখায় অনেকটা খেজুরপাতা দিয়ে বোনা পাটির মতো।

  • তিন প্যাচ একসঙ্গে দেখা যায় ট্রিনটি গিঁটে।

  • বন্ধন স্থান কিছুটা মোচার মতো আকৃতি আনে ভ্যান উইক।

  • এসব গিঁট আরও ভালো করে বুঝতে এবং শিখতে চোখ বোলাতে পারেন ইন্টারনেটে।