বিএসআরএম নিবেদিত ‘মিট দ্য এক্সপার্ট’
আমার মূল কাজ কোম্পানিকে সফলভাবে পরিচালনা করা: সিইও মাহতাব
সিইওদের সমস্যা যে নেই, তা নয়। সিইও, সিএফও, ম্যানেজার, ডেপুটি ম্যানেজারদের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে, যাঁর যাঁর জায়গা থেকে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, মানুষ কী বলল, তা নিয়ে খুব বেশি ভাবলে কাজে সেটার প্রভাব পড়ে। মনে রাখতে হবে, মূল কাজ কোম্পানিকে সফলভাবে পরিচালনা করা।
বিএসআরএম নিবেদিত ‘মিট দ্য এক্সপার্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অব প্রফেশনালের (বিইউপি) শিক্ষার্থী নাজিয়া ইউসুফ মাহতাব উদ্দিন আহমেদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘বড় অর্জন করার জন্য আমাদের স্বপ্নটাও বড় হতে হবে। না হলে তো বড় অর্জন সম্ভব নয়। যখন বড় স্বপ্নটা কেউ দেখতে চায়, যেমন সবাই তো সাধারণ স্বপ্ন দেখে এটা হওয়ার, ওটা হওয়ার, কিন্তু বড় স্বপ্ন হওয়ার ব্যাপারটা মানুষ যখন প্রকাশ করে যে আমি এটা হতে চাই, তখন আশপাশ থেকে তাকে নিরুৎসাহিত করা হয় এই বলে যে না, এটা তো করা সম্ভব না, তুমি তো সামান্য এটাই করতে পারো না, আবার ওটা কীভাবে করবে। কীভাবে এসব বাধা অতিক্রম করে বড় স্বপ্ন দেখা যায় এবং তার থেকেও বড় কিছু অর্জন করা যায়?’
এসব প্রশ্নে জবাবে রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রশ্নটি খুবই কঠিন। একটা জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ, সিইওর যে সমস্যা নেই, তা নয়। সিইও, সিএফও, ম্যানেজার, ডেপুটি ম্যানেজার, সবারই নিজস্ব সমস্যা রয়েছে যাঁর যাঁর জায়গা থেকে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, মানুষ কী বলল, তা নিয়ে খুব বেশি যদি ভাবেন, তাহলে আপনার কাজে সেটার প্রভাব পড়বে। আপনার কাজের মান কমে যাবে। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমি যেটা মেনে চলি, আমার মূল কাজ হচ্ছে কোম্পানিকে সফলভাবে পরিচালনা করা। ওখান থেকে যদি আমার লক্ষ্য বিচ্যুত হয়, তাহলে আমি পারলাম না। কিন্তু যদি আমি আমার কাজটা ঠিক রাখি যে কাজটা আমাকে বা যাকেই যে কাজটা দেওয়া হয়েছে, ওই কাজ যদি আপনি ঠিকমতো করেন, পাচ্ছে লোক যা–ই বলুক না কেন, কেউ আপনার সামনে এসে বলতে পারবে না যে আপনি আপনার কাজটি করেননি। কোম্পানিতে আপনি আপনার অবদানটা রাখছেন। কিন্তু পাছে লোকের কথার জন্য আপনি যদি আপনার কাজের সঙ্গে আপস করেন, তাহলে আপনি আর পারলেন না। তাই সব সময় আপনার কাজের প্রতি আপনার সৎ থাকতে হবে। আমি চিন্তা করি, কেন ওই মানুষটা আমাকে নিয়ে এভাবে চিন্তা করছে। আমার কোনো কাজ বা কথায় কি আমি তাকে দুঃখ দিলাম, তাই ওই মানুষটাকে অবহেলাও করা যাবে না আবার এমনও যাতে না হয় যে ওই যেন আপনার কাজে প্রভাব না ফেলে আপনার কাজের মান যেন পড়ে না যায়।’