ঘর যেভাবে সব সময় সুরভিত থাকবে

অনেক সুগন্ধিযুক্ত এয়ার ফ্রেশনারে আছে অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মডেল: নাজিয়া
ছবি: নকশা

অনেক সময় কর্মস্থল অথবা ঘরে দুর্গন্ধের কারণে আমাদের বিভিন্ন অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কর্মস্থলে অনেক মানুষের সমাগম হওয়ার কারণে সেখানে সুগন্ধির ব্যবহার অনেকটাই অপরিহার্য হয়ে পড়ে। অফিসে সুন্দর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ কর্মীদের কাজের ওপরও বেশ প্রভাব ফেলে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ কিছু সুবাসের এয়ার ফ্রেশনার অথবা সুগন্ধি হিসেবে এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার আমাদের মানসিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। যেমন ল্যাভেন্ডার অথবা রোজ অয়েল এর মধ্যে অন্যতম। আবার অনেক সুগন্ধিযুক্ত এয়ার ফ্রেশনারে অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি–ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা বিভিন্ন জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। স্নানঘর, ক্লোসেট, লিভিং রুম এবং শোবার ঘরে এয়ার ফ্রেশনার অথবা যেকোনো সুগন্ধির ব্যবহারের ফলে একধরনের প্রাকৃতিক সুগন্ধি বজায় থাকে। ফলে কোনো উটকো গন্ধ টের পাওয়া যায় না।

আজকাল বোতলজাত এয়ার ফ্রেশনারের পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে এয়ার ফ্রেশনার পাওয়া যাচ্ছে। যেমন প্রাকৃতিক তেল, বিভিন্ন সুবাসের রুম ডিফিউসার, সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি—এগুলোর মাধ্যমে মানুষ ঘরকে সুবাসিত করছে। অনেকে স্নানঘরে মোমবাতি রাখতে পছন্দ করেন। সেসব মোমবাতির ওপর কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিলে পুরো জায়গা সুবাসিত থাকবে। বাসায় অতিথি এলে আমরা সুগন্ধির জন্য বিভিন্ন মোমবাতি ব্যবহার করে থাকি। এতে পুরো ঘর সুবাসিত থাকে। অনেক সময় ঘরে রান্নার ফলে অপ্রত্যাশিত গন্ধের সৃষ্টি হয়। সে সময় কোনো মোমবাতি জ্বালিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

সৃষ্টি স্থপতির স্বত্বাধিকারী স্থপতি তাসনিম কবির তূর্যি বলছিলেন, ‘ঘরে অথবা কর্মস্থলে যেকোনো অপ্রত্যাশিত গন্ধ আমাদের অনেকের জন্যই বিরক্তির কারণ। সে কারণে ঘরকে সুবাসিত রাখতে বিভিন্ন সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক তেল দিয়ে সুগন্ধি করলে সেটা কম ক্ষতির কারণ হয়।’ ঘরে মোমবাতি অথবা যেকোনো রুম ডিফিউসার সহজে ব্যবহার করা গেলেও অফিসে এগুলো সব সময় পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে বোতলজাত এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। কারণ, এগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং রক্ষণাবেক্ষণও সহজ।

হাঁপানি রোগী থাকলে এয়া ফ্রেশনার ব্যবহার সতর্ক থাকুন
ছবি: নকশা

সুগন্ধি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অবশ্যই কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ঘরে হাঁপানি রোগী, মাইগ্রেন অথবা শ্বাসকষ্টজনিত যেকোনো রোগ যাঁদের আছে অথবা খুব ছোট শিশু থাকলে এসব সুগন্ধি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এয়ার ফ্রেশনার অথবা সুগন্ধিযুক্ত জিনিসে এমন কিছু উপাদান আছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘরে পোষা প্রাণী থাকলেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া অনেকেই ঘরে ছোট ছোট ইনডোর প্ল্যান্ট রাখেন। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিংবা কড়া সুগন্ধিযুক্ত কোনো কিছু ব্যবহার না করাই ভালো। মনে রাখতে হবে, যেকোনো সুগন্ধি ব্যবহারের সময় পরিমাণে অনেক বেশি অথবা বারবার ব্যবহার না করাই ভালো।