৬ বছর আগে প্রথম দেখেছিলাম

এই বিভাগে পাঠক তার মনের কথা লিখে পাঠাতে পারেন। নির্বাচিত লেখা ছাপা হবে বুধবারের প্র অধুনাতে। এবার থাকছে একগুচ্ছ নানা স্বাদের লেখা

মনের বাক্স

দাদাকে মনে পড়ে

২০০৯ কি ১০ সালের কথা। টু বা থ্রিতে পড়ি। দাদা আমাদের স্কুলের সামনে দিয়ে বাজারে যাতায়াত করতেন। বয়সের ভারে কিছুটা ধীরে পথ চলতেন। আমাদের স্কুলের সামনে এলেই তাঁকে পাকড়াও করতাম, চাঁদা দিতে হবে। সাদা পাঞ্জাবির পকেট থেকে টাকা বের করতেন। দুই টাকার তিনটা নোট। একটা আমাকে দিয়ে বাকি দুইটা নিয়ে চলে যেতেন বাজারের দিকে চা খেতে। দুধ চা দাদার খুব প্রিয় ছিল। এক যুগ আগেও এক কাপ দুধ চায়ের দাম ছিল পাঁচ টাকা। হয়তো সে উদ্দেশ্যেই পকেটে ছয় টাকা নিয়ে বের হতেন। কিন্তু আমার জন্য চা খাওয়া আর হতো না। এখন দাদা নেই, তাঁর এসব স্মৃতি খুব মনে পড়ে।

আপনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি দাদা।

মোয়াজ্জিম হুসাইন, লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

৬ বছর আগে প্রথম দেখেছিলাম

প্রিয় তাসনোভা,

নতুন বছরের শুভেচ্ছা। প্রায় অর্ধযুগ আগের কথা। নীল একটা বারান্দার দিকে মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকত একটা ছেলে। সেখানে অন্য দুটি শিশুর সঙ্গে তোমাকে যখন খেলতে দেখত, তার খুব ভালো লাগত। সবচেয়ে ভালো লাগত, যখন তুমি হাসতে। হয়তো সেটা ছিল তার দেখা অন্যতম সুন্দর দৃশ্য।

সময় যেতে থাকে। তত দিনে শহর ছেড়ে ঢাকা চলে গেলে তোমরা। পড়ালেখার চাপে ছেলেটিও ব্যস্ত হয়ে গেল। এরপর হঠাৎ এক বিকেলে ছেলেটা আবার তোমার দেখা পেল। অবিশ্বাস্য! চোখের সামনে অতীতগুলো নতুনের মতো ভেসে উঠল।

অনেক সংকোচ জয় করে শেষ পর্যন্ত সে তোমার কাছাকাছি পৌঁছাল। এরপর অল্পবিস্তর তুমি তো জানোই। মনে রেখো, তিনতলার সেই নীল বারান্দাটা দেখতে ছেলেটির এখনো খুব ভালো লাগে। ফোনের স্ক্রিনে তোমার নাম ভেসে উঠলেও ছেলেটি আনন্দ পায়। তোমার আঁকা ছবিগুলো তার কতখানি পছন্দের, তুমি জানো?

এত দিন আমিই শুধু গল্পটি জানতাম। আজকে নাহয় তুমিও জানলে। বাকি গল্পটা এগিয়ে নিতে ছেলেটাকে একটু সাহায্য করবে কি?

জামান

ধ্বংসস্তূপের ছাই

তোমাদের জন্য কীভাবে এক–একটা দিন পার করেছি, সেগুলো পৃথিবীর অজানাই থাক।

শুধু এতটুকুই জানি, ধ্বংসস্তূপের ছাইয়ের মধ্যে থেকে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বাস তো হারিয়েই ফেলেছি, তাই প্রতিশোধের কথা আর ভাবি না। ভাবি, একদিন আমার সঙ্গে করা আচরণগুলোর কথা ভেবে তারা যেন লজ্জিত হয়। সত্যি সত্যিই সেই দিন একটু মানসিক প্রশান্তি পাব।

জাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মা-বাবার জন্য মন কাঁদে

খেয়াল করেছি, যখন কাজ করি, তখন আমার মন খারাপ হতে পারে না। কখনো কখনো কাজের মধ্যে মা-বাবার কথা মনে পড়লে মনটা ভারী হয়ে আসে। তখন অনেক বেশি কষ্ট পাই। মাঝেমধ্যে চোখে পানি চলে আসে। মনে হয়, আমি যখন অনেক বেশি উপার্জন করব, তখন হয়তো আব্বু-আম্মু বেঁচে থাকবেন না। আমি মানুষ দুটিকে খুব ভালোবাসি।

ইয়াছিন জয়, ফেনী

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’