গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় আপনার জানা জরুরি
১২ আগস্ট প্রথম আলোর অপরাধ বিভাগে প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘সন্ধ্যায় এলেন নতুন গৃহকর্মী, পরদিন সকালে তাঁর জন্য মাথায় হাত’। রাজধানীর গ্রিন রোডে কাকলি খানের বাসায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির দারোয়ান এক গৃহকর্মীকে রেখে যান। শুক্রবার সকালে চারটি মুঠোফোন, চার লাখ টাকা, একটি হীরার আংটি, চেইনসহ সব গয়না নিয়ে পালিয়ে যান রহিমা নামের সেই গৃহকর্মী। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
যে বাসায় স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চাকরি করেন, কিন্তু গৃহকর্মী নেই বা হঠাৎই কাজ ছেড়ে চলে যায়, সেখানে অনেক সময় এমনটা হয়েই থাকে। এমন অবস্থায় যাচাই-বাছাই না করেই হয়তো বাসায় নতুন গৃহকর্মীর নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে গৃহকর্মী রাখার আগে অবশ্যই তাঁর পরিচয় জেনে নেওয়া খুব জরুরি। না হলে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা
গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে করণীয়গুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক :
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে গৃহকর্মী নিতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান গৃহকর্মী সরবরাহ করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে। লাইসেন্স আছে কি না, জানতে হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ফরমে গৃহকর্মী ও গাড়ির চালকদের তথ্য দেওয়ার ঘর রাখা আছে। যিনি গৃহকর্মী রাখবেন, তাঁর দায়িত্ব ফরমটি পূরণ করে থানায় দিয়ে আসা।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তাঁর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, সদ্য তোলা রঙিন ছবি, শনাক্তকারী ব্যক্তি, ওই ব্যক্তির পরিচয় ও তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে হবে। তথ্যগুলো স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে। নিজের কাছেও রাখতে হবে।
এর আগে গৃহকর্মী কোথায় কাজ করেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য, কাজ ছাড়ার কারণ এবং প্রয়োজনে ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করে তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
গৃহকর্মীর পরিবারের তথ্য, স্থায়ী ঠিকানা ও পরিবারে কে কে আছেন, তা জানতে হবে। প্রয়োজনে স্থায়ী ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।
গৃহকর্মী নিয়োগের পর তাঁর গতিবিধি লক্ষ রাখতে হবে। বাসার মূল ফটকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি সম্ভব হলে ঘরের মধ্যেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। বিশেষ করে ঘরে শিশু বা বৃদ্ধ কেউ থাকলে তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে সিসিটিভি রাখা জরুরি।
বাসায় মূল্যবান জিনিস সাবধানে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। সন্দেহজনক কারও সঙ্গে গৃহকর্মী মুঠোফোনে কথা বলছে কি না, তাও খেয়াল রাখতে হবে।
স্থানীয় থানার ডিউটি অফিসারের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন।
প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার বিষয়টিও মাথায় রাখবেন।