যে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিশ্বসুন্দরী হলেন ক্রিস্টিনা
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ভারতের মাটিতে বসেছিল মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আসর। ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে উপস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন ২০১৩ সালের ফিলিপিনো-মার্কিন বিশ্বসুন্দরী মেগান ইয়ং ও বলিউডের প্রযোজক ও পরিচালক করণ জোহর।
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, শেষ ধাপে উঠে আসা আট প্রতিযোগীকেই একটি করে প্রশ্ন করা হয়। বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দিয়ে যাঁরা মেধার পরিচয় দিতে পারেন, তাঁরাই থাকেন এগিয়ে।
এ বছর ৭১তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত মুকুট উঠেছে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধি ক্রিস্টিনা পিসকোভার মাথায়। মঞ্চে করণ জোহর তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘নারীদের স্বাস্থ্যসেবার একটি বিষয়ে যদি আপনাকে আলোকপাত করতে বলা হয়, আপনি কোন দিকটির কথা বলবেন? এবং কেন?’
উত্তর দিতে একদমই দেরি করেননি ক্রিস্টিনা। ‘আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আমি মনে করি, নারী হিসেবে জন্ম নেওয়া একটা বড় উপহার। সারা বিশ্বের নারীদের প্রতিনিধি হিসেবে এই মঞ্চে আসতে পেরে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ,’—এই ছিল তাঁর ভূমিকা। এরপর করণের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নারী স্বাস্থ্যের যে বিষয়টির গুরুত্ব কখনোই ভোলা উচিত নয়, তা হলো মাসিক। কারণ, পৃথিবীর অনেক দেশেই এখনো নারীরা এ নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন, ভয় পান। যে মনোযোগ তাঁদের পাওয়া উচিত, সেটা তাঁরা পান না।’
একই প্রশ্ন করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের সুন্দরী জেসিকা অ্যাশলেকেও। উত্তরে তিনি বলেন, ‘নারী স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহানুভূতির অভাব আর কুসংস্কার—দুটি দিকেই আমি আলোকপাত করব। পৃথিবীর অনেক নারী দারিদ্র্যের কারণে মাসিকের সময় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন না। নারী হিসেবে তাঁরা লজ্জিত বোধ করেন। অনেক মেয়ে স্কুল কামাই করে এই সমস্যার কারণে। স্বাধীন, শক্তিশালী নারী হিসেবে আমরা যাঁরা আজ নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, আমি মনে করি, আমাদের এ ব্যাপারে কিছু করার আছে।’
এ বছর ভারতীয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন, পূজা হেগড়ে, ক্রিকেটার হরভজন সিং, সাবেক ৩ মিস ওয়ার্ল্ডসহ মোট ১২ জন ছিলেন বিচারকদের মধ্যে। তাঁদের বিচারে শেষ হাসি হেসেছেন ক্রিস্টিনা পিসকোভা।