পৃথিবীর ছাদ জয়ের অভিযানে গেলেন বাংলাদেশি দুই পর্বতারোহী
পর্বতারোহণের মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতা ‘স্নো লেপার্ড চ্যালেঞ্জ’। বিশ্বের ৬৯৩ জন পর্বতারোহী মর্যাদাপূর্ণ চ্যালেঞ্জটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। বাংলাদেশি পর্বতারোহী সালেহীন আরশাদী ও ইমরান খান এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এ চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করতে তাঁদের তাজিকিস্তান ও কিরগিজস্তানে অবস্থিত পামির ও তিয়েন শান পর্বতশ্রেণির পাঁচটি সাত হাজার মিটারের শৃঙ্গ আরোহণ করতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই আজ কিরগিজস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন দুজন।
তিন পর্বের অভিযানে বাংলাদেশি পর্বতারোহীরা মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত ইসমাইল সোমোনি (৭৪৯৫ মিটার), জেঙ্গিশ চোকুসু (৭৪৩৯ মিটার), ইবনে সিনা পিক বা পিক লেনিন (৭১৩৪ মিটার), কর্জেনেভস্কায়া (৭১০৫ মিটার) ও খান তেংরি (৭০১০ মিটার) পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করবেন।
প্রথম পর্বে ইবনে সিনা বা পিক লেনিন আরোহণ করবেন অভিযাত্রীরা। এটি পামির মালভূমির ট্রান্স আলতাই পর্বতশ্রেণির অন্তর্গত, যাকে প্রায়ই ‘পৃথিবীর ছাদ’ আখ্যায়িত করা হয়। সব ঠিক থাকলে তাঁরা ৫ আগস্ট পিক লেনিনের বেজক্যাম্পে পৌঁছাবেন। অতি উচ্চতা ও আবহাওয়ার সঙ্গে প্রয়োজনীয় খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর ২২ আগস্ট নাগাদ তাঁরা চূড়ার শীর্ষে ওঠার উদ্যোগ নেবেন।
অভিযান সম্পর্কে সালেহীন আরশাদী বলেন, ‘আমরা দেখাতে চাই যে বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জকেই দৃঢ় সংকল্প ও নিষ্ঠার সঙ্গে অতিক্রম করতে পারে।’
সালেহীন আরশাদী ও ইমরান খান গত বছর ১০ দিনে হিমালয়ের ৪টি শিখর আরোহণ করেন। এ ছাড়া আলাদাভাবেও হিমালয়ের বিভিন্ন পর্বতে অভিযান পরিচালনা করেছেন তাঁরা।
এ পর্বতারোহণ প্রকল্পের আয়োজক পর্বতভিত্তিক অ্যাডভেঞ্চার প্ল্যাটফর্ম ‘অদ্রি’। এ ছাড়া অভিযানে সহযোগিতা করছে দ্য কোয়েস্ট, ট্রাভেলারস অব বাংলাদেশ, ক্লাইম্ব ফর আর্থ, পিক সিক্সটি নাইন, বায়ো এরিকা, মঈন ফাউন্ডেশন, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও প্রথম আলো। অভিযানের প্রচার সহযোগী দ্য ডেইলি স্টার ও যমুনা টেলিভিশন।