নারীর সাহসিকতা উদ্‌যাপনে পর্বতাভিযানে গেলেন পাঁচ অভিযাত্রী

অতিথিরা নিশাত মজুমদারের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেন
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরই জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘বিশ্বস্মৃতি’ বা ‘ওয়ার্ল্ড মেমোরি’র তালিকায় স্থান পেয়েছে নারীর মুক্তিপ্রত্যাশী সাহিত্যকর্ম ‘সুলতানা’স ড্রিম’। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা এই বিখ্যাত উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার বিশেষ পর্বতাভিযানের আয়োজন করেছে পর্বতারোহীদের সংগঠন ‘অভিযাত্রী’। ‘সুলতানা’স ড্রিম আনবাউন্ড’ বা ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’ স্লোগানে অভিযানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার।

‘সুলতানা’স ড্রিম আনবাউন্ড’ বা ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’ স্লোগানে অভিযানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার (মাঝে)
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল ২০ ডিসেম্বর অভিযান উপলক্ষে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে পতাকা অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ইউনেসকো ঢাকার হেড অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক এনগেজমেন্ট নুসরাত আমিন এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সেখানে জানানো হয়, শীতকালীন অভিযানে পাঁচ নারী অংশ নিচ্ছেন। নিশাত মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযানের অন্য সদস্যরা হলেন পর্বতারোহী ইয়াসমিন লিসা, এপি তালুকদার, অর্পিতা দেবনাথ ও তহুরা সুলতানা। পর্বতারোহীদের মধ্যে দুজন প্রশিক্ষণার্থী ট্রেকার। অভিযানের লক্ষ্য বাংলাদেশের নারীদের দৃঢ়তা, কল্পনাশক্তি ও সাহসিকতা উদ্‌যাপন করা। অতিথিরা নিশাত মজুমদারের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

বিমানবন্দরে পাঁচ পর্বতারোহী
ছবি: সংগৃহীত

২৫ দিনের অভিযানে অংশ নিতে আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা ছেড়েছেন পর্বতারোহীরা। নেপালের কাঠমান্ডু পৌঁছে দলটির সদস্য ইয়াসমিন লিসা আজ প্রথম আলোকে জানান, ২৩ ডিসেম্বর থেকে তাঁদের মূল অভিযান শুরু হবে।

শীতকালীন এই অভিযানে পর্বতারোহীরা নেপালের নয়া কাঙ্গা পিক (৫,৮৪৪ মিটার), ব্যাডেন পাওয়েল পিক (৫,৭১০ মিটার) ও ইয়ালা পিক (৫,৫০০ মিটার) নামের তিনটি পর্বতের শিখরে আরোহণের চেষ্টা করবেন।

এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায়, যাতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।