পরিণীতির বিয়েতে বোন প্রিয়াঙ্কা যে কারণে আসেননি, ইনস্টাগ্রামে বড় বোনের মতোই লিখলেন, ‘দুজন দুজনের খেয়াল রেখো’
পরিণীতি চোপড়ার বিয়েতে তাঁর পর সবচেয়ে বেশি আলো পড়ার কথা ছিল বোন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ওপর। কে না জানেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের গভীর সম্পর্কের কথা! আপন বোন না হলেও ‘কাজিন’ প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, পরিণীতি আপন বোনের চেয়ে কিছু কম নন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই বোনের ছবিগুলো যেন ‘সিস্টার গোলস’।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া পরিণীতিকে ডাকেন ‘তিশা’ নামে। অন্যদিকে পরিণীতি প্রিয়াঙ্কাকে ডাকেন ‘মিমি দিদি’ নামে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর নিক জোনাসের সঙ্গে প্রায়ই ‘স্যান্ডউইচ’ হয়ে দেশ–বিদেশে ঘুরেও বেড়ান পরিণীতি।
অথচ পরিণীতির বিয়েতে নেই প্রিয়াঙ্কা! তিনি দেশে আসবেন ভেবে ভারতের বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিদের আনাগোনাও বেড়ে গিয়েছিল। হঠাৎই এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পরিণীতিকে বিয়ের জন্য অগ্রিম শুভকামনা জানান প্রিয়াঙ্কা। তখন থেকেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না তিনি।
কিন্তু কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর মূলত দুটি। এক. প্রিয়াঙ্কার জীবনসঙ্গী নিক জোনাসের বড় ভাই, মার্কিন সংগীত তারকা জো জোনাস (তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ) ও ব্রিটিশ অভিনেত্রী সোফি টার্নারের বিচ্ছেদ এবং সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াই। ২০২৩ সাল থেকেই দুজনের দূরত্বের কথা শোনা যাচ্ছিল। আগস্ট মাস থেকে এই দুজন রীতিমতো দুই মহাদেশে থাকছিলেন। সোফি টার্নার পাকাপাকিভাবে যুক্তরাজ্যে চলে গেছেন। এদিকে জো দুই কন্যা নিয়ে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।
১ সেপ্টেম্বর জো বিয়ের আংটি ছাড়াই মঞ্চে ওঠেন। সোফিকেও বিয়ের আংটি ছাড়া দেখা গিয়েছিল। ৪ সেপ্টেম্বর জো বিচ্ছেদের আবেদন করেন। সোফি এ ঘটনা জানতে পারেন মিডিয়ার মাধ্যমে, আবেদন করার এক দিন পর, অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর। ৬ সেপ্টেম্বর দুজন আলাদাভাবে ইনস্টাগ্রামে জানান যে তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সম্প্রতি সোফি টার্নার তাঁর ৩ বছর ও ১৪ মাস বয়সী দুই কন্যাকে যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাজ্যে তাঁর জিম্মায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আইনি সহায়তা চেয়েছেন। অন্যদিকে জো তাঁর সন্তানদের হাতছাড়া করতে নারাজ। এ রকম জটিল পরিস্থিতিতে জোনাস পরিবার জোর সঙ্গে আছে। ফলে প্রিয়াঙ্কার পক্ষে ভারতে এসে বোনের বিয়েতে আনন্দ–ফুর্তি করা ঠিক মানানসই নয় বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ১৮টা দেশ ঘুরে চলছে বহুলপ্রতীক্ষিত জোনাস ব্রাদার্স কনসার্ট। তাই নিকের পক্ষেও কোনোভাবেই শ্যালিকার বিয়ের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মা মধু চোপড়া জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা এই মুহূর্তে তাঁর পেশাগত কাজে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই বোনের বিয়েতে আসতে পারলেন না। তবে বোনের নতুন জীবনের জন্য দূর থেকেই আন্তরিক শুভকামনা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
বিয়েতে অংশ নিতে না পারলেও বাগদানে ঠিকই ছুটে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ইনস্টাগ্রামে নবদম্পতির ছবি শেয়ার করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘পিকচার পারফেক্ট, তিশা, তুমি আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী কনে। আর রাঘব, চোপড়া পরিবারে স্বাগত। আশা করি, আমাদের সব পাগলামিতে তুমিও অংশ নেবে। তোমাদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। দুজন দুজনের খেয়াল রেখো। সারা জীবন সুখে থাকো।’