কবির বাড়ির রান্নাঘর
কবি সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে আমার ৫০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল।
বিয়ের ১৭ বছর পর পাকিস্তান আমলে কিনে রাখা আমাদের একটি জমির ওপর বাড়ি তৈরি শুরু হলো। একটু একটু করে বাড়ি তৈরি হতে হতে প্রায় ১০ বছর লেগে গেল। একটা একটা করে ঘর তৈরি হলো, হলঘর তৈরি হলো, বাথরুম তৈরি হলো।
কিন্তু বাড়ির ভিত কাটার কিছুদিনের মধ্যে টাকা ফুরিয়ে গেল। তখন কিছুদিন বাড়ি তৈরির কাজ স্থগিত থাকল। তারপর আস্তে আস্তে আবার শুরু হলো। ধীরে ধীরে বাড়ি তৈরি শেষ হলো। তবে একেবারে শেষ হলো বলা চলবে না। বস্তুত আমার ধারণা, মানুষের বাড়ি তৈরি কোনো দিন শেষ হয় না। কোনো না কোনো কাজ বাকি থেকেই যায়।
আমাদেরও কিছু কাজ তেমনই বাকি থেকে গেল। সত্যি বলতে, অনেক কাজই বাকি থেকে গেল। এমনকি ইংল্যান্ড থেকে যে ট্রাংকগুলো জাহাজে করে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল সেই ১৯৭৯ সালে, তার দুটি খোলাই হলো না। ভেতরের লেপ–তোশক নিশ্চয় গলে–পচে গেছে। কিছু থালাবাসনেও হয়তো জং ধরে গেছে, কিন্তু বাড়ি তৈরি করার কাজে আমরা এতই ব্যস্ত হয়ে থাকলাম যে সেসব আর খোলাই হলো না!
মানুষের জীবন তো এই রকমই, এই ভেবে দুজনেই চুপ করে থাকতাম! সময় কোথায়? তা ছাড়া চাবিও তো হারিয়ে ফেলেছি!
সেই বাড়ি অবশেষে যখন তৈরি হলো, আমি আর সৈয়দ হক বাড়ির লম্বা উঠানে বসে বাড়ির দিকে তাকিয়ে দার্শনিক দৃষ্টি ফেলে বললাম, ‘আহা, আমাদের বাবারা যদি আমাদের তৈরি এই বাড়িতে এক বেলা থাকতে পারতেন!’
তাঁরা কেউই তখন বেঁচে নেই।
বাড়ি তৈরি হওয়ার আগেই বারবার করে সৈয়দ হককে বলেছিলাম, আমি কিন্তু একটা বড় রান্নাঘর চাই। মাকে সারা জীবন দেখেছি, একটা ছোট্ট রান্নাঘরে ঘেমেনেয়ে রান্না করতে। শাশুড়ি মাকেও এভাবে রান্না করতে দেখেছি। দেশের অধিকাংশ মেয়ে দিনের প্রায় সমস্তটা সময় যেখানে ব্যয় করে, বাড়ি তৈরির সময় পুরুষদের চেষ্টা থাকে, সেই রান্নাঘরটাই যত দূর ছোট করা যায়!
আমার কথায় সৈয়দ হক একবাক্যে রাজি, ‘অবশ্যই তোমার রান্নাঘর আমি বড় করে তৈরি করে দেব।’
আমি আবার চলে গেলাম বিদেশে। কিছু মাস বাদে যখন আবার দেশে ফিরে এলাম, নিজের রান্নাঘর দেখে আমার মুখে হাসি আর ধরে না! সৈয়দ হককে আদর করে বললাম, ‘উরেব্বাস, কী বড় আমার রান্নাঘর। মাথার ওপর আবার ফ্যানও আছে।’
আমার কথা শুনে সৈয়দ হক খুশি হয়ে হাসলেন।
রান্নাঘরে মেঝে আবার দুই ভাগ করা আছে। এক ভাগে রান্না, কোটাবাছা; আরেক ভাগে টুল পেতে খাওয়া। মেহমান এলে অবশ্য ডাইনিংরুমে খেতে পারবে।
কিন্তু বিধাতা আমার খুশি দেখে মনে মনে হাসলেন। কারণ, রান্নাঘর বড় হলো বটে—সৈয়দ হকের যুবক বয়সের শুটিংয়ের সময় কেনা বড় বড় হাঁড়িকুড়ি দিয়ে রান্নাঘর আর বিদেশি কাটলারি এবং ক্রোকারিজ দিয়ে আলমারিও সাজানো হলো—কিন্তু রান্না করার সময় আর আমার হয়ে উঠল না!
দেশে ফিরে ডাক্তারি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। সকাল, বিকেল ও রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত থাকি। সৈয়দ হক মাঝেমধ্যে ঠাট্টা করে বলেন, ‘কই, তোমার সেই রান্না কই? বাঁধাকপি দিয়ে কই মাছ রান্না কই? আলু–বড়ি–টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল কই? কই সে মুরগির কষা কষা মাংস? কই মুরগির রোস্ট? কই তোমার ডিমের পুডিং, রুইয়ের মুড়িঘণ্ট? কোথায় গেল সেসব? লন্ডনে থাকতে তবু তো এসব রান্না করে খাওয়াতে। দেশে ফিরে তো রান্নাঘরে তোমার টিকিটিও দেখা যাচ্ছে না!’
সত্যি ছিল এসব কথা। খুবই সত্যি। মন থেকে অপরাধবোধও ছিল। কষ্ট ছিল। কিন্তু বাস্তবতা এই ছিল যে প্রতিদিন বাবুর্চির হাতের রান্নাই আমাদের সবাইকে খেতে হতো। তারপরও মাসে বা দুই মাসে একবার করে রান্না করতে চেষ্টা করতাম। সেদিন বাড়ির সবাই খুব খুশি হতো। সৈয়দ হক প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেন। ভাইবোন ও ছেলেমেয়েরা খুশি হতো। কিন্তু ব্যস, ওই পর্যন্তই।
সবাই বলে, আমার রান্নার হাত ভালো। তবে সৈয়দ হকের খাবারের চাহিদাও ছিল খুব সীমিত। সামান্য ছোট মাছের চচ্চড়ি, বিশেষ করে ট্যাংরা মাছ, পটোলভাজা, টমেটোর চাটনি, দেশি মুরগির মাংস, রুই মাছের মুড়িঘণ্ট, বেগুনভাজা, ডালভর্তা, ইলিশ মাছের ভাজা—এই সব। আর ভালোবাসতেন পাবদা মাছের মাখো মাখো ঝোল। শর্ষে ইলিশও খুব ভালোবাসতেন। আর ভালোবাসতেন খিচুড়ি। অবশ্য খিচুড়ি ভালো না বেসে তাঁর উপায় ছিল না। কারণ, এই রান্নাই আমি ঝটপট করে ফেলতে পারতাম।
আমার বাপের বাড়ির খাওয়া ছিল একটু অন্য রকম। একটু আগে যেসব রান্নার কথা বললাম, সেসব তো হতোই, তারপর আরও অন্য রকমের রান্নাও হতো। খাওয়ার ব্যাপারে আমার বাবা ছিলেন একটু শৌখিন মানুষ। খাসির মাংস খেতে ভালোবাসতেন। মাসে একবার বা দুবার করে পোলাও রান্না করতে বলতেন। কখনো আবার আখনি পোলাও রান্না করতে বলতেন। অড়হরের ডাল ছিল তাঁর খুব প্রিয়। সেই অড়হরের ডাল আমরা ছেলেমেয়েরা মুখে তুলতে পারতাম না, আমাদের কাছে গন্ধ লাগত। পরে জেনেছিলাম, এগুলো সব বিহারের রান্না। দুই পুরুষ আগে বিহার থেকে বাংলায় এসে থিতু হয়েছিলেন আমাদের দাদা।
আমাদের মা এই সব রান্নায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। চচ্চড়ি বা মাছের ঝোল, খাসির মাংস মা খুব ভালো রান্না করতে পারতেন। মাকে প্রায়ই দেখতাম হাতমাখা মাছের চচ্চড়ি করতে। মসলা–মাছ সব একসঙ্গে হাত দিয়ে মাখিয়ে চুলায় তুলে দিতেন।
মুখে বলতেন, ‘আমার কি অত সময় আছে রান্না নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকার?’
অথচ আমি দেখতাম, তিনি সারা দিন যেন রান্না নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।
আর রান্না করতে পারতেন খিচুড়ি। কত রকমের খিচুড়ি যে মা রান্না করতে পারতেন, তার ঠিক নেই। আস্ত মুগের ডালের খিচুড়ি নারকেল দুধ দিয়ে, গরমমসলা দিয়ে মা যেদিন রান্না করতেন, সেদিন আমরা তাঁর চারপাশে ঘুরঘুর করতাম। মাংস দিয়ে সেই খিচুড়ি আমরা খেতাম। আমাদের বাড়িতে কোনো দিন গরুর মাংস রান্না করা হতো না। গরু খাওয়া আমি শিখেছি ঢাকায় পড়তে এসে। আর রান্না করতেন টক। কত রকমের টক যে মা রান্না করতে পারতেন, তার ঠিক নেই। আমডালও একটি বিশেষ রান্না ছিল আমাদের বাড়িতে।
আরও একটা জিনিস লক্ষ করতাম। মাংস বা রুই–কাতলা মাছের মতো ‘গুরুতর’ কোনো পদ হলে রান্নার শেষে মা জিরা তাওয়ার ওপর রেখে শুকনা করে ভেজে তারপর সেটা নোড়া দিয়ে ভালো করে বেটে গুঁড়া করে তরকারির ওপর ছড়িয়ে দিতেন। খাওয়ার সময় ভাজা জিরাগুঁড়া জিবে লাগলে খাবারটা মনে হতো বড় সুস্বাদু।
আবার সৈয়দ হকের কথায় ফিরে আসি। হ্যাঁ, যেসব খাবার তিনি ভালোবাসতেন, সেসবই রান্না করে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। নিজের হাতে অবশ্য নয়, রাঁধুনির হাতে। অনেক সময় রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে থাকতাম রাঁধুনিকে সাহায্য করার জন্য।
মোটকথা, আমি নিজেও কাজের মানুষের রান্নার ওপর নির্ভর করে থাকতাম। সৈয়দ হক খেতেন খুব অল্প। মনে হতো যেন পাখির খাবার খাচ্ছেন। আবার খাওয়ার সময় তিনি লক্ষ রাখতেন, যেন হাতের দুই করের ওপর খাবারের দাগ না লাগে। নিজের ছেলেমেয়েকেও সেভাবেই খেতে শিখিয়েছেন। ফলে ওদের খাওয়াটা একটা শৈল্পিক ফর্মে আছে, আমার মতো হাবিজাবি নয়!
আমি বহু বছর শুধু ছুরি-কাঁটা চামচ দিয়ে ভাত–তরকারি খেয়েছি। ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোর ডক্টরস রেসিডেন্সে থেকে আমার এই অভ্যাস হয়েছিল। কাঁটা চামচ দিয়ে এমনভাবে খেতে শিখেছিলাম, যেন হাত দিয়েই ভাত-মাছ-মাংস খাচ্ছি! দেশে ফিরে হাত দিয়ে ভাত খেয়ে প্রাণটা বাঁচল!
এবার আমার প্রথম জীবনের একটা অভিজ্ঞতা এখানে শেয়ার করি। আমার বিয়ের পরপর একদিন খাওয়ার টেবিলে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো। আমি হচ্ছি যশোরের মানুষ। সেখানেই আমার জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা। কিন্তু সৈয়দ হক হচ্ছেন উত্তরবঙ্গের ছেলে। উত্তর ও পশ্চিমের খাওয়াদাওয়ার নিয়মকানুন যে ভিন্ন, তখন পর্যন্ত তা আমার জানা ছিল না।
সেদিন সবার সঙ্গে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসেছি। কাজের মেয়ে আমার শাশুড়ি মায়ের তত্ত্বাবধানে টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখেছে। ঘন মসুর ডাল, ভাত, সবজি, ভাজা, মাছ, মাংস—এই সব। প্লেটে ভাত বেড়ে একটা চামচ দিয়ে মসুর ডাল তুলে ভাতের এক কোণে ফেললাম। ডাল দিয়ে প্রথমে ভাত মাখিয়ে খাব। গলাটা প্রথমে ডাল খেয়ে নরম ও সলসলে হবে, তারপর ভাজি ও অন্যান্য।
ডাল দিয়ে ভাত মাখিয়ে যেই মুখে তুলব, সৈয়দ হক, আমার সদ্য বিয়ে করা স্বামী, খপ করে আমার হাতটা ধরে ফেললেন। বললেন, ‘উঁহু, ডাল এখনই না! আগে সবজি, তারপর মাছ, তারপর মাংস, সবশেষে ডাল!’
তাঁর কথা শুনে আমি অবাক। নিচু গলায় বললাম, ‘আমাদের বাড়িতে তো প্রথমে ডাল দিয়ে ভাত খাওয়া শুরু করে।’
সৈয়দ হক বললেন, ‘না, আমাদের উত্তরবঙ্গে সবশেষে ডাল খায়! ভাজি, মাছ, মাংস খাওয়ার পর ডাল খেয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নেয়! তা ছাড়া আমার মা এখানে আছেন। তিনি কী ভাববেন!’
তাঁর কথা শুনেই বুঝে গেলাম। একে তো আমাদের পছন্দের বিয়ে। আর এই প্রথম তাঁর মা আমাদের পরিবেশন করছেন। আমি তাঁর কাছে নতুন এবং তিনিও আমার কাছে।
তা ছাড়া খাওয়ার টেবিলের ব্যবহার একটি বিশেষ ধারণা মানুষের মনে জন্ম দেয়, যাকে বলে টেবিল ম্যানার।
তাঁর সংসারে আমি একজন নতুন বউ। আমার চালচলন, ওঠাবসা এখন সবার নজরবন্দী হয়ে আছে। সুতরাং ইচ্ছা করলেও এখন সৈয়দ হকের সঙ্গে তর্কে যেতে পারব না। বিদ্রোহ না করে চুপ করে মেনে নিলাম।
পরে একসময় বসে তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়লাম। বললাম, ‘দেখো, আমরা যশোরে বড় হয়েছি। আমরা কলকাতার গা ঘেঁষে থাকি। আমাদের হাঁটাপথে কলকাতা। সেখানে ভাত খেতে বসে মানুষ প্রথমে ডালের বাটি ঢেলে একটু ভাত মাখিয়ে মুখে দেয়। এটা অনেকটা সাহেবদের মেইন ডিশ খাওয়ার আগে স্যুপ খাওয়ার মতো। গলাটা এরপর নরম ও সলসলে হয়ে আসে। তারপর তুমি ভাজা, ভাজি, ছোট মাছ, বড় মাছ বা মাংস—যা ইচ্ছা খাও।’
সৈয়দ হক আমার কথা শুনে বললেন, ‘তাহলে ভাত খাওয়ার শেষে মাংসের গন্ধ মুখে নিয়ে উঠবে নাকি?’
আমি বললাম, ‘তা কেন, আমাদের দেশে ভাত খাওয়ার শেষে টক খায়। তেঁতুলের টক, জলপাইয়ের টক বা আমের টক বা আমড়ার টক। যে সময়ে যা পাওয়া যায়। ডালের চেয়েও পাতলা হয় সেই টকের ঝোল। টক ছাড়া আমাদের বাড়িতে রান্না হয় না। ভাত খাওয়ার শেষে সেই টক খেলে তোমার মুখে কোনো মাছ, মাংসের গন্ধও থাকবে না। তারপর তো মুখ ধুয়ে ফেলবে। এখানে কোনো বাড়িতে তো টক খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই!’
তারপর বললাম, ‘তা ছাড়া চিন্তা করে দেখো, চায়নিজ খাওয়ার সময় প্রথমে কিন্তু আমরা স্যুপ দিয়েই শুরু করি। আমরা এতবার করে চায়নিজ খেয়েছি, কোনোবার স্যুপ না খেয়ে কি মেইন ডিশ কখনো খেয়েছি, বলো? তা ছাড়া তোমার রবীন্দ্রনাথও প্রথমে ডাল দিয়ে ভাত মাখিয়ে তাঁর খাওয়া শুরু করতেন!’
আমার কথা শুনে সৈয়দ হক গুম হয়ে বসে থাকলেন। তারপর হেসে ফেলে বললেন, ‘ঠিক বলেছ, একেবারে হানড্রেড পারসেন্ট কারেক্ট!’ তারপর একটু থেমে ভেবে নিয়ে বললেন, ‘কিন্তু তবু বাবু, মায়ের সামনে কখনো ডাল আগে খেয়ো না!’
আমি শুনে হেসে ফেলে বললাম, ‘না, খাব না।’
এখানে একটা কথা না বললে নয়, আমার শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না ছিল অমৃত। তাঁর রান্না সামান্য একটা ভাজিও খেতে বড় সুস্বাদু লাগত। পোলাও যেদিন রান্না করতেন, গন্ধে ম–ম করত সারা বাড়ি। তাঁর হাতের রান্না মুরগির মাংস একবার খেলে আর ভোলা যেত না।
তবে শাশুড়ি মাকে কোনো দিন ভাজা জিরার গুঁড়া তরকারির ওপর ছিটিয়ে দিতে দেখিনি। দিলে হয়তো অন্য ধরনের একটা স্বাদ হতো।
আমার শাশুড়ি মা ছিলেন মানিকগঞ্জের মেয়ে। আমার যেন মনে হয়, মানিকগঞ্জের রান্না সব জায়গার রান্নার চেয়ে ভালো।
সেই যে স্বামীকে একদিন আশ্বস্ত করার জন্য বললাম, ‘না, ডাল আগে খাব না’, এর পর থেকে কোনো দিন আর ডাল আগে খাইনি। এমনকি আমার নিজের সংসারেও ডাল আগে খাইনি।
সৈয়দ হক ডাল সব খাবারের পর খেয়েছেন, আমি তাঁকেই অনুসরণ করেছি। না, এর ভেতরে কোনো হীনম্মন্যতাবোধ নেই। এটি হলো ভালোবাসার প্রকাশ। এভাবে খেতেই আমি এখন অভ্যস্ত।
এখন সৈয়দ হক নেই, কিন্তু ডাল আমি মেইন খাবারের শেষেই খেয়ে চলেছি!
লেখাটি প্রথম আলোর বিশেষ ম্যাগাজিন বর্ণিল খাবারদাবার ২০২৪–এ প্রকাশিত