প্রতিটি মুখ সৌন্দর্যে স্বতন্ত্র

বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে কেন এলেন?

ছোটবেলা থেকেই সাজগোজ পছন্দ করতাম। আর আমার মাকে দেখেছি, কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা সামলাতে। সব মিলিয়ে আমি বিউটি নিয়ে ব্যবসা করতে উদ্যোগী হই।

আপনার মেকআপের দর্শন কী?

খুবই সহজ। মেকআপের প্রক্রিয়াটা যেন দ্রুত হয়। স্বাভাবিক লুক আনে। নিজের ব্যক্তিত্ব আর সৌন্দর্যকে স্পষ্ট করে তোলে। প্রত্যেকটি মানুষই নিজেদের মতো করে সুন্দর। আপনি যেমন, আপনি তেমনই সুন্দর। সেই সৌন্দর্যকেই তুলে ধরে মেকআপ।

আপনার বিউটি ব্র্যান্ডের নাম ‘কণা বাই ফারনাজ আলম’ কেন রাখলেন?

কণা আমার মায়ের নাম। আমার জন্মের আগে থেকেই তিনি ‘উইমেনস ওয়ার্ল্ড’ চালাচ্ছেন। এই প্রতিষ্ঠানের এখন ৩১ বছর চলছে। তিনি সব সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাই নিজের ব্যবসা তাঁর নামে রাখার মাধ্যমে তাঁর সেই সাহস আর শ্রমকে সম্মানিত করতে চেয়েছি।

মেকআপশিল্পী হিসেবে যাঁরা ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের আপনি কী উপদেশ দেবেন?

যেকোনো পেশার ক্ষেত্রেই সেই বিষয়ে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। সময়ানুবর্তিতা আর পরিশ্রমের ক্ষেত্রেও একই কথা। সেরাদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশের নব্য সংস্কৃতিকে বিউটি ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে প্রভাবিত করছে?

প্রযুক্তির উন্নয়নে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয়তায় এখন বিউটি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের ক্রমাগত বদলে যেতে থাকা সংস্কৃতিকে খুবই প্রভাবিত করছে। এখন বাংলাদেশের বিউটি আন্তর্জাতিক বিউটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। মেকআপ ব্যক্তিকে ভালো বোধ করায়। প্রতিটা মুখ সৌন্দর্যে স্বতন্ত্র।

বিউটির ক্ষেত্রে আপনাকে কী সবচেযে বেশি টানে?

মিসরীয় আর্ট। আর দেবীদের ছবি। সেখানে তাঁদের মুখ যেভাবে আঁকা হয়েছে, তার সৌন্দর্য অনবদ্য।