গত বছর সংকটকাল অতিক্রম করা সত্ত্বেও এখন বিশ্বজুড়ে ৩৮ কোটি গ্রাহকের পরিবারে পরিণত হয়েছে ভিভো। গ্রাহকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি পাঠানো এক বার্তায় এসব কথা বলেন ভিভোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিস্টার ডিউক।
ভিভোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘গত বছরের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সব কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। একই সঙ্গে ফ্রন্টলাইন স্টাফ ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। গ্রাহকদের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের ইকোসিস্টেমের এবং ই-কমার্স অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। এ জন্য ভিভোর প্রতি আস্থা রাখায় আমি সব কর্মী ও গ্রাহকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। ভিভো সব সময় গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন সরবরাহ করে।’
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত বছর তারা ইন্ডাস্ট্রির সেরা ক্যামেরা স্মার্টফোন নিয়ে আসে। পাওয়ারফুল পারফরম্যান্স, ইনোভেটিভ সলিউশন, চমৎকার মোবাইল টেকনোলজির সমন্বয়ে তরুণ গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অনন্য ফিচারের ওয়াই সিরিজ এবং ভি সিরিজ সফলভাবে বাজারে ছাড়ে ব্র্যান্ডটি।
উদ্ভাবন ও কর্মীদের কঠোর প্রয়াসের প্রশংসা করে ডিউক বলেন, বিশ্বমানের ডিজাইনারদের সমন্বয়ে গঠিত টিমটি বিশাল কৃতিত্বের দাবিদার। কারণ, তারা তরুণ ও ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিচারের পরিকল্পনা করেন।
ভি২০ ফ্ল্যাগশিপ সিরিজের স্পেসিফিকেশন তুলে ধরে ডিউক বলেন, ‘ফোনের মাধ্যমেই প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি যাত্রার এ উদ্ভাবনের ইতিহাস একটি মাইলফলক। ফোনটি বাজারে আসার পর থেকেই ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছে।’
বিবৃতিতে ডিউক আরও উল্লেখ করেন, গত ২৫ বছরে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম চাহিদার বিষয়ে গভীর বোঝাপড়া তৈরিতে সক্ষম হয়েছে ভিভো। গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ এবং উদ্ভাবন সক্ষমতার সাহায্যে গ্রাহকদের নিত্যনতুন চাহিদা বুঝে বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রযুক্তিসংবলিত স্মার্টফোন তৈরিতে সক্ষম এই ব্র্যান্ড। আর ইতিমধ্যে এটি গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ‘মোর লোকাল, মোর গ্লোবাল’ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে ভিভো তাদের কার্যক্রম দৃঢ়ভাবে পরিচালনা করে চলেছে। একই সঙ্গে স্থানীয় বাজারকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরছে বলেও বিবৃতিতে জানান ডিউক।
ডিউক তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে একটি মুঠোফোন সংযোজন প্ল্যান্ট চালু করে ভিভো। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী নিত্যনতুন উদ্ভাবনী পণ্যের মাধ্যমে ভিভো নিজেদের একটি তারুণ্যকেন্দ্রিক ও দূরদর্শী ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছে।
ভিভো ও জেইসিসের কৌশলগত অংশীদারত্বের কথা তুলে ধরে ডিউক বলেন, ‘মোবাইল ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা সম্প্রতি জেইসিসের সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করেছি। এ যৌথ অংশীদারত্ব মোবাইল ইমেজিংয়ের আরও নতুন নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করবে, যা বৃহৎ পরিসরে এই ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘ মেয়াদের উন্নয়ন ও সৃজনশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
সম্প্রতি আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিভো ২০২০ সালে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে পঞ্চম স্থান দখল করেছে। এ ছাড়া ১১ কোটি ডিভাইস শিপমেন্টের মাধ্যমে বাজার শেয়ার ধরে রেখেছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ভিভো সুন্দর আগামীর জন্য তাদের এ উদ্ভাবনের ধারা বজায় রাখব বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ডিউক।
বার্তাটিতে ডিউক বলেন, ‘মোবাইল টেকনোলজির অপার সম্ভাবনাকে উন্মোচন করে আপনাদের আস্থাকে সঙ্গে নিয়ে বৈচিত্র্যময় ফিচার ও ধারণার স্মার্টফোন আনার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে নিরলস কাজ করে যাব।’