কেন কিনবেন ডিশওয়াশার
জীবনকে সহজ করতে অনেক আগেই বাড়ির অন্দরে ঢুকে গেছে রেফ্রিজারেটর, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন। আর সম্প্রতি বেড়েছে ডিশওয়াশারের ব্যবহার। প্রয়োজনের তাগিদেই এখন ডিশওয়াশার ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। গৃহকর্মী–সংকট, স্বামী–স্ত্রী দুজনই চাকরজীবী হওয়ার কারণে আধুনিক কিচেন ধারণায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে ডিশওয়াশার।
কেন কিনবেন
বড় কোনো পারিবারিক আয়োজনে একসঙ্গে অনেক হাঁড়িপাতিল আর বাসনকোসন এঁটো হয়, দুই বা চার হাতে এত সব ধোয়াটা আয়াস ও সময়সাপেক্ষ কাজ। সহজ সমাধান হতে পারে ডিশওয়াশার। বাড়িতে নিয়মিত ব্যবহারের শখের প্লেট কিংবা গ্লাস পরিষ্কারে ডিশওয়াশার দরকারি যন্ত্র। সাভারের জিরানী এলাকার বাটারফ্লাই শোরুমের ম্যানেজার রনজিত চন্দ্র সরকার বলেন, শহরের বাড়িগুলোয় ডিশওয়াশার মেশিনের চাহিদা দেখা যাচ্ছে বেশি। যেহেতু রান্নাঘরের সহায়তার জন্য সহকারী পাওয়া একটা বড় সংকট, কিংবা পাওয়া গেলেও তার জন্য নিয়মিত গুনতে হয় টাকা, সেখানে ডিশওয়াশার মেশিন ভীষণ কার্যকর। সময় বাঁচানোর জন্যও ডিশওয়াশার জনপ্রিয়। আমরা বাড়িতে সাধারণভাবে রান্নাঘরের থালাবাসন পরিষ্কারে স্পঞ্জ ব্যবহার করি। ডিশওয়াশার গরম পানির মাধ্যমে পরিষ্কার করে। অধিকাংশ ডিশওয়াশারে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ফিচার থাকে বলে সহজেই ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। ডিশওয়াশারে পরিষ্কারের সময় ব্যবহার করা হয় ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানি। ১০ মিনিট সময় ধরে ধোয়া হয় বলে জীবাণুমুক্ত করা যায় সম্পূর্ণ। এক পরিসংখ্যানে বলছে, রান্নাঘরের থালাবাসন পরিষ্কারে একজন ব্যবহারকারী ৬০ লিটারের মতো পানি অপচয় করেন। ডিশওয়াশার ব্যবহারের কারণে গড়ে ৫০ লিটার পানি সাশ্রয় করা সম্ভব।
ঝামেলামুক্ত জীবনের জন্য
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা নিশাত আনজুম জানান, ডিশওয়াশার ব্যবহারের কারণে রান্নাঘরের সিংক ও থালাবাটি রাখার র্যাক পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও গুছিয়ে রাখা যায়। ডিশওয়াশারের ভেতরই রাখা যাচ্ছে প্রয়োজনীয় থালাবাটি। নিয়মিত যাঁরা রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করেন, সরাসরি ডিটারজেন্ট ও পানি ব্যবহারের কারণে তাঁদের হাতের তালু ও ত্বক কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকক্ষণ ধরে পানি ব্যবহারের কারণে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকিও থাকে। ডিশওয়াশার রান্নাঘরে থাকলে এসব ধকল হয় কম। ডিশওয়াশারে কাচের থালাবাসন পরিষ্কার করার সময় ভাঙার ঝুঁকিও থাকে না।
বাজারের খোঁজখবর
বাজারে আছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিশওয়াশার মেশিন। বশ ব্র্যান্ডের ডিশওয়াশারের দাম পড়বে ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৮০ হাজার ৯০০ টাকা। বাটারফ্লাই গ্রুপে আছে ইকোপ্লাস ব্র্যান্ডের ডিশওয়াশার। ইকোপ্লাস ১২ মডেলের দাম পড়বে ২৯ হাজার ১১৫ টাকা ও ইকোপ্লাস ১৪ মডেলের দাম পড়বে ৪১ হাজার ৯০০। স্যামসাংয়ের ডিশওয়াশারের দাম পড়বে ৬১ হাজার ৯০০ টাকা। এটি দিয়ে ১৩টি থালাবাসন একেবারে পরিষ্কার করা যায়। এ ছাড়া বাজারে এলজি, মিডিয়াসহ অন্যান্য
ব্র্যান্ডের ডিশওয়াশারও পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকমের ফিচারের ওপর নির্ভর করে দামের তারতম্য। বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের ডিশওয়াশার মেশিন ইএমআইয়ের মাধ্যমে কেনারও সুযোগ আছে।