বাজেটের মধ্যে যেখানে মিলবে শীতপোশাক
শীতের পোশাকে এবারও ‘সাধ আর সাধ্য’–এর মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে দিচ্ছে নূরজাহান মার্কেট। নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সীদের জন্য বিভিন্ন ফেব্রিক ও ডিজাইনের শীতকালীন পোশাকে ভরপুর রাজধানীর এই মার্কেট।
ভিড় ঠেলে একটু ভেতরে ঢুকলেই নজর কাড়বে শিশুদের বাহারি ফ্যাশনেবল সব শীতের জামাকাপড়। দেখা মিলবে এ যুগের ফ্যাশনেবল শিশুদের উপযোগী জিনসের প্যান্ট ও জ্যাকেট, বেবি স্যুট, বডি স্যুট, কার্ডিগান আর কার্টুনওয়ালা রঙিন টি–শার্ট। এবারের শীতে ছোট সোনামণিদের হুডিওয়ালা বা হুডিবিহীন ‘প্যাডেড জ্যাকেট’ বেবি কর্নারগুলোর বিশেষ আকর্ষণ! দামও থাকছে সাধ্যের মধ্যে, ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এখন অবশ্য একটু গরম কাপড়ের ফুলহাতা বেবি টি–শার্ট বা শার্টগুলোর চাহিদা একটু বেশি।
হালকা শীত হোক বা বেশি, উলের টি–শার্টের চাহিদা কিন্তু মেয়েদের মধ্যেও কম নয়। নানা রঙের ফুলহাতা, হাফহাতা বা কোয়াটার হাতার টার্টল নেক, ভি বা কলার নেকের চল এখন বেশি! দাম চাইলে দোকানি হাঁকবেন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কিন্তু আপনার দামাদামিতে সেটা ২৫০ টাকার মধ্যেও নেমে আসতে পারে। চমকে ওঠার কিছু নেই, নূরজাহানে এ–ও সম্ভব!
শীতের আয়োজনে মেয়েদের জন্য রয়েছে উল, ভেলভেট বা মিশ্র কটনের মোটা কাপড়ের সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, লং শার্ট, শ্যাকেট। তীব্র শীতের আগেই শাড়ির দোকানগুলোতে উঠেছে কাশ্মীরি উলের শাল চাদর। তবে দোকানিরা বলছেন, মেশিনে বোনা উলের প্রিন্ট করা চাদরের চাহিদাই বেশি। কেননা দামটা তখন একটু হাতের মুঠোয় থাকে।
ফরমাল লুকের জন্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে একরঙা লেডিস স্যুটের নতুন ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে এই মৌসুমে। এ ছাড়া ওয়েস্টার্ন আউটফিটের জন্য এখানে রয়েছে জিনস, ফরমাল, সেমিফরমাল, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ও জ্যাকেটের বিপুল সংগ্রহ। কাপড় আর ডিজাইনভেদে এসবের দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
নূরজাহান মার্কেটের আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সারা বছরই এই মার্কেটে শীতে পরার উপযোগী জামাকাপড় পাওয়া যায়। পাফ জ্যাকেট, ওয়াটারপ্রুফ শেল জ্যাকেট, স্নো প্যান্ট/জ্যাকেট, উল বা সিনথেটিক সোয়েটার মোটামুটি সাধ্যানুযায়ী দামেই পাওয়া যায়। ফ্যাশনসচেতন, তবে সীমিত বাজেটের মানুষের কাছে রাজধানীর নূরজাহান মার্কেট সব মৌসুমেই তাই সেরা।