জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। ফলে পরিবেশ অসহনীয় গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্যও হয়ে পড়েছে বেশ অস্বস্তিকর। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের আগামী প্রজন্মকে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে অনুপ্রাণিত করতে এগিয়ে এসেছে ওয়াশিং পাউডার ব্র্যান্ড সার্ফ এক্সেল; যার শুরুটা হয়েছিল গাছ লাগানোর মতো পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি দিয়ে।
৫ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি লাইভ সেশনের মাধ্যমে এই সবুজ উদ্যোগের সূচনা করে ইউনিলিভারের এই ব্র্যান্ড। সবুজ উদ্যোগে সার্ফ এক্সেলের সঙ্গে আরও ছিল আগামী প্রজন্মের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে কাজ করে চলা প্রতিষ্ঠান ফুটস্টেপ বাংলাদেশ।
পরিবেশই প্রাণের ধারক, জীবনীশক্তির বাহক। আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন পরিবেশ-প্রকৃতি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এ পরিবেশকে আমরা নানাভাবে দূষিত করে আসছি। বিশ্বজুড়ে এখন পরিবেশদূষণের মাত্রা ভয়াবহ। পরিবেশদূষণের উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, বনভূমি উজাড় ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ।
এখন থেকে সচেতন ও সাবধান না হলে এই পরিস্থিতি দেশের পরিবেশের জন্য ডেকে আনবে মারাত্মক বিপর্যয়; যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হতে পারে বিভীষিকার মতো। আর তাই শিশুদের মধ্যে পরিবেশবান্ধব এমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে সার্ফ এক্সেল ও ফুটস্টেপের এমন জোরালো তাগিদ।
পরিবেশ দিবসে শিশুরা তাদের নিজ নিজ বাসায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে সার্ফ এক্সেল ও ফুটস্টেপের সহযোগিতায় গাছ, টব, মাটি, কম্পোস্ট সারসহ গাছ লাগানো, পরিচর্যার গাইডলাইন অংশগ্রহণকারীদের আগেই সরবরাহ করে।
প্রোগ্রামের দিন পূর্বনির্ধারিত মডিউল অনুসরণ করে শিশুরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এই উদ্যোগে শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা-মায়ের অংশগ্রহণও ছিল আন্তরিক।
উল্লেখ্য, সার্ফ এক্সেল বিশ্বাস করে যে পরিবেশ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সবাইকে এবং নিজেদেরকেই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে পরিবেশবিষয়ক ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো নেওয়ার জন্য। আর এই উদ্যোগে যদি জামা-কাপড়ে, হাতে, মুখে দাগ লেগে যায়-ই, তবে পরিবেশ বাঁচাতে সেই দাগ খুবই সামান্য। সার্ফ এক্সেলের আশা, আগামী প্রজন্মের সবাই তাদের এই উদ্যোগে সাড়া দেবে এবং পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য অন্তত একটি করে হলেও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নেবে।
এ ছাড়া আয়োজকেরা আরও বলেন, পৃথিবী প্রযুক্তির দাসত্ব গ্রহণ করছে দ্রুতগতিতে। আর এর চেয়েও দ্রুত যেন কমছে গাছপালা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে এ সমস্যা দূর করা যায়, সেই ভাবনা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ। বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে সরাসরি পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখাই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ব্র্যান্ডটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ছবি: সার্ফ এক্সেল