ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে মশলার বাজার। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিক্রিবাট্টায় জমজমাট মসলা বাজার। বিসমিল্লাহ মসলাঘরের বিক্রয় ব্যবস্থাপক শাখাওয়াত উল্লাহ জানান, এবার মসলার দাম তুলনামুলক বেশি।
রাজধানীর রায়সাহেব বাজার ও রামপুরা বাজারে ঘুরে জানা গেছে, ঈদ যত কাছে আসছে, ততই বাড়ছে সব ধরণের মসলার চাহিদা ও দাম। ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্তও কেজিতে বেড়েছে মসলার দাম। তবে আমদানী করা মসলার দাম তুলনামুলক বেশি। ঈদ উপলক্ষে প্রতি কেজি জিরার দাম ৪০০ থেকে ৪৭৫ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি এলাচের দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। কিসমিসের দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। লবঙ্গ কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। দারুচিনির দাম ছিল কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৯৫ টাকা দরে। এছাড়া জয়ত্রী ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। আলুবোখারা ৫৫০ থেকে ৬৭০ টাকা। পাঁচফোড়ন ১৫০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরণের বাদামের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি কাঠবাদামের দাম ৭০০ থেকে ৮২০ টাকা। কাজু বাদামের দাম ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। গোল মরিচ পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে ৭৭০ টাকা পর্যন্ত। আর জায়ফল ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারের মশলা বিক্রেতা হান্নান সরকার বলেন, দাম বাড়েনি এমন একটা জিনিসও বাজারে নেই। আর মশলার দাম তুলনামূলক বেশি বেড়েছে। হলুদগুড়ো প্রতিকেজি কিনতে পাবেন ২২০ থেকে ৩৪৫ টাকার মধ্যে। আর মরিচ গুড়োর দাম ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা। আদা ১৫০ থেকে ২২০ টাকা। ধনিয়ার গুড়ো ১৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৩০ টাকা। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৮৫ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৫৩৫ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ৬৫ থেকে ১০৫ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের কেজি ৯৫ থেকে ১৮৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা।