হারিয়ে যাচ্ছে ওদের শৈশব

একজন মানুষ যত সফল হোক না কেন, ঘুরেফিরে দেখবেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা ছেলেবেলায় কেটেছে। সুন্দর কোনো সময়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি স্মৃতির অলিগলি ঘুরে চলে গেছেন শৈশবে। শৈশব মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর সময়। অথচ বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত শিশুদের একটা অংশের স্মৃতিতে নেই শৈশবের মধুর চিত্র। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, একটি শিশুকেও তার জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো প্রকার শ্রমে নিয়োজিত করা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে শিশুরা শ্রমে জড়িত হয়ে থাকে। আলোকচিত্রী তাহনান ফেরদৌস তাঁর ক্যামেরার লেন্সে মূলত খুঁজে ফেরেন ইতিবাচক বাংলাদেশ। সমান্তরালে সেই সঙ্গে তিনি ক্যামেরাবন্দী করেছেন শিশুশ্রমে মলিন হয়ে যাওয়া শৈশব। সেগুলোর কয়েকটিতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
১ / ১০
যে সময় শিশুটির ঘুড়ি ওড়ানোর কথা, সে ঘুড়ি বিক্রি করে। জরিপে দেখা গেছে, এসব শিশুশ্রমিকের প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
২ / ১০
২০০৩ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৩২ লাখ। ২০ বছরে শিশুশ্রমিকদের সংখ্যা বেড়েছে বৈ কমেনি। এর মধ্যে ১৩ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। জুতার কারখানার কাজও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৩ / ১০
মলিন শৈশব, মলিন চেহারা, হাসি–আনন্দের যেন কোনো জায়গা নেই! অথচ এ সময় তাদের খেলার কথা, চিন্তামুক্ত নির্ভার থাকার কথা
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৪ / ১০
আরামদায়ক পরিবেশেও অনেকের ঘুম আসে না। ইনসমনিয়ায় ভোগে। এদিকে পরিশ্রমে, ক্লান্তিতে তারের ওপরে ঘুমিয়ে পড়েছে শিশুটি
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৫ / ১০
দারিদ্র্য, সম্পদের অভাব, পারিবারিক জটিলতা, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারিসহ নানা কারণে শিশুরা শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৬ / ১০
এভাবেই তারা নিজেদের শৈশব জলাঞ্জলি দিয়ে রঙিন শৈশব ফেরি করে
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৭ / ১০
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অসংখ্য শিশু বিভিন্ন পেশায় শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৮ / ১০
সে রকম আরেকটা উদাহরণ এই ছবি
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
৯ / ১০
এই ঘোড়া তার অর্থ উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম, শৈশবেরও সঙ্গী। শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত এই শিশুরা। প্রতি বছর ১২ জুন পালিত হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি।’
ছবি: তাহনান ফেরদৌস
১০ / ১০
এখনো শিশুশ্রম বাংলাদেশে স্বাভাবিক ঘটনা। অথচ শিশুশ্রম মোটেই কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আইনত, নৈতিকতার মানদণ্ডে চরম অন্যায়। শিশুদের স্কুলে পাঠানোর মধ্য দিয়ে শিশুশ্রম রোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক ও মালিকপক্ষকে সচেতন করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে।
ছবি: তাহনান ফেরদৌস