২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে ইরফানের ২ গিনেস রেকর্ড

দুটি রেকর্ড করেছেন ইরফান
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ইরফান আনোয়ার। পড়ালেখা করছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে। সম্প্রতি ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন তিনি। কেন এমন একটা কিছু করার কথা ভাবলেন? ইরফান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন হিসেবে এটা দেখে আমার খুব মন খারাপ হতো। তাই কিছু একটা করে ইতিবাচক আলোচনায় আসতে চাচ্ছিলাম।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে থাকেন এই তরুণ। খুঁজতে থাকেন, কোন রেকর্ডটি তাঁর পক্ষে করা সম্ভব। বেশ কয়েকটি চেষ্টা করে ব্যর্থও হন। একপর্যায়ে নজরে আসে ৬০ সেকেন্ড ও ৩০ সেকেন্ডে (হাতের সাহায্যে) ড্রাম স্টিক ঘোরানোর রেকর্ড দুটি। নিজে যদিও ড্রামার নন, তারপরও প্রথম দেখাতেই ইরফানের মনে হয়েছিল, ‘এই কাজটা পারব।’

কিন্তু শুরুতেই বিপত্তি। রেকর্ড করার জন্য যে মাপের স্টিক প্রয়োজন, কোথাও সেটা পাচ্ছিলেন না। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জানায়, তারা দেশের বাইরে থেকে এনে দিতে পারবে, কিন্তু দাম বেশ চড়া। এই সময় চট্টগ্রামের বাদ্যযন্ত্রের দোকান ডগপ্যাচ মিউজিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সাধ্যের মধ্যেই ইরফানের হাতে ঠিকঠাক মাপের একটা ড্রাম স্টিক তুলে দেয় তারা। ব্যস, সময় পেলেই চর্চা করতে থাকেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। ইরফান বলেন, ‘কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছি, তারপর ৮ থেকে ১০ বারের চেষ্টায় সফল হই। সক্ষমতা অর্জন, আবেদন, সব শেষে স্বীকৃতি—পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লেগেছে ৭ মাস।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ইরফান আনোয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ড্রাম স্টিক ঘোরানোর আগের রেকর্ড দুটো ভাঙতে চান, ২২ জানুয়ারি এই মর্মে আবেদন করেন ইরফান। এরপর ২১ মার্চ ভিডিও ধারণ করে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। সবকিছু পর্যালোচনার পর ৭ জুলাই এক ই-মেইল বার্তায় ইরফানকে জানানো হয়, তাঁর কাজটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে। ‘এক মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার ড্রাম স্টিক ঘোরানো’ ক্যাটাগরিতে আগের রেকর্ডটি ছিল ১০৪ বার। ইরফান পেরেছেন ১২৫ বার। অন্যদিকে, ‘৩০ সেকেন্ডে সবচেয়ে বেশিবার ড্রাম স্টিক ঘোরানো’র আগের রেকর্ডটি ছিল ৬০ বার। ইরফান ঘুরিয়েছেন ৬৫ বার।

ভালো কাজের মাধ্যমে শুধু নিজ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চান এই তরুণ। আপাতত এটিই তাঁর লক্ষ্য। পাশাপাশি আরও কিছু রেকর্ড করার কথা ভাবছেন তিনি।

আরও পড়ুন