জেন–জি এখন তরুণ, আলফারা শিশু, আজ শুরু হলো নতুন প্রজন্ম
সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছর, অর্থাৎ দুই যুগের মতো সময় ধরে একটি প্রজন্ম গড়ে ওঠে। যদিও তাদের শুরু ও শেষের বছরটি বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত হয়। প্রযুক্তিগত ক্রমবিবর্তন, বিশ্বায়ন ও সভ্যতার উন্নয়নও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিটি প্রজন্মের নামকরণ এবং এর শুরু ও শেষের সময়সীমা কোনো সরকারি কমিশন বা গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নেয় না। বরং বিভিন্ন নাম ও জন্মসাল হিসাব করে প্রস্তাব করা হয় এবং কিছুটা এলোমেলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিডিয়া ও জনপ্রিয় কথাবার্তায় ধীরে ধীরে ঐকমত্য গড়ে ওঠে। যেহেতু প্রজন্ম প্রায়ই নির্দিষ্ট ঘটনা দ্বারা গঠিত হয়, তাই তাদের মান ও সময়সীমা কখনো কখনো এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৃথক হয়।
জেন–জি
তবে মোটাদাগে এটা নিশ্চিত, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাঁদের জন্ম, তাঁরাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছর। এই প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য, ভালো দিক, মন্দ দিক নিয়ে অনেক কথা হয়, অনেক গবেষণা ও আলাপও হয়। তার পাশাপাশি এ প্রশ্নও ওঠে, জেড যেহেতু ইংরেজি বর্ণমালার সর্বশেষ বর্ণ, তাহলে জেনারেশন ওয়াই বা এক্সও নিশ্চয়ই আছে। তারা কারা?
আলফা প্রজন্ম
এদের জন্মকাল ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত যে জন্ম নিয়েছে, সে এই প্রজন্মের সদস্যা। সেই হিসেবে আলফা প্রজন্মের বর্তমান বয়স ১ দিন থেকে ১৩ বছর। এদের মা-বাবারা আবার জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়াল প্রজন্মের সদস্য। এই প্রজন্ম এখনো শিশু এবং এদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য ও পরিসংখ্যান এখনো নির্ধারিত হয়নি। এই প্রজন্মের সবচেয়ে বয়সীরা আজ টিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। তবে অনেকেরই জিজ্ঞাসা, গতকাল যদি আলফা প্রজন্ম শেষ হয়ে যেয়ে থাকে, আজ যে শিশু জন্ম নিল, সে কোন প্রজন্মের?
বিটা প্রজন্ম
রোমান সংখ্যা দিয়ে গননা শুরু হওয়া আলফা প্রজন্মের পর আজ যে শিশু জন্ম নিল, সে হবে জেন–বিটা বা জেনারেশন বিটা। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়া শিশুরা হবে এই প্রজন্মের। এ প্রজন্মের শিশুরা বেড়ে উঠবে তথ্য–প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে। যাঁদের বাবা–মায়েরা মিলেনিয়াল অথবা জেন–জির শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া। বিটা প্রজন্মের মূল লড়াই হবে এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) সঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রজন্মকে শেখায় শেপ দেবে মূলত এআই। তাই তাদের সৃজনশীলতার অভাব থাকতে পারে। আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো ২২ শতককে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাবে।