মনের বাক্স
তোমাকে শেষ দেখার অপেক্ষায়
পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
মা–বাবার দোয়ায় এই আমি
আমার যতটুকু জ্ঞান, তাতে মনে করি, মা–বাবার চেয়ে আপন এই পৃথিবীতে আর কেউ হতে পারে না। কেউ মা–বাবাকে কষ্ট দিচ্ছে শুনলে মন খারাপ হয়। তবে আমার নিজের জীবন দিয়ে আমি যেটা উপলব্ধি করেছি, সেটা হলো মা–বাবার দোয়া ছাড়া পৃথিবীতে কেউই সফল হবে না। গ্রাম ছেড়ে আজ আমি এই যে শহরে পড়াশোনা করছি, সেটা তো আমার মা–বাবার পরিশ্রমের কারণে সম্ভব হয়েছে। নিজের সেভাবে পড়াশোনা না করতে পারলেও সন্তানকে তাঁরা সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা আমার অর্ধশতাধিক কলাম প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। গল্প আর কবিতার বই প্রকাশনার চলছে প্রয়াস। সমাজের চোখে হয়তো আমি বড় কিছুই নই। তবে আজ আমার যতটুকু অর্জন, তার সবটাই আমার মা–বাবার জন্য।
মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
তোমাকে শেষ দেখার অপেক্ষায়
তোমার সঙ্গে আমার দেখা না হলেও পারত। অথবা তোমার সঙ্গে যেদিন দেখা হয়েছিল, ওই দিন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা প্রয়োজন ছিল। তোমার জন্য আজ আমি পাগলপ্রায়। আমি পড়তে পারছি না, খেতে পারছি না, ডাক্তার বলেছে আমার ফুসফুসের অবস্থা ভালো না। আমি নাকি আর বেশি দিন বাঁচব না। তবে বাঁচা নিয়ে আমার মধ্যে কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, আমি এই মুহূর্তে মরতে পারলেই বাঁচি। তোমার সঙ্গে হাজার বছর ধরে পথ হাঁটার কথা ছিল। একসঙ্গে বাঁচার কথা ছিল আমাদের। আমি তখন অনেক স্বপ্ন দেখতাম তোমাকে নিয়ে। তুমিও আমাকে উৎসাহ দিতে আর কল্পনায় রাঙাতে আমাদের ভবিষ্যৎ কত মধুর হবে, তা নিয়ে। আজ আমি কোথায় আর তুমি কোথায়। তোমার কাছে আমার একটি চাওয়া, আমার জন্য তুমি মৃত্যু কামনা করো। আমার মরণ হলেই ভালো হয়। কারণ, তুমিহীনা এই জীবন, মৃত্যুর চেয়ে বেশি যন্ত্রণাময়।
ফরহাদুল ইসলাম, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ
চাঁদের আলো আর ফুলের সৌরভমাখা রাত
আনিসুল হকের সফল যদি হতে চাও বইটি পড়ছিলাম। হঠাৎ লোডশোডিং হয়। রুমের ভেতর ভালো লাগছিল না, তাই ছাদে চলে আসি। ছাদে বসে আনমনে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করি। আহ, কত সুন্দর চাঁদ! চাঁদে নাকি এক বুড়ি থাকে, ছোটবেলা আমরা এ রকম অনেক কল্পকাহিনি শুনেছি। সত্যি কত সুন্দর আমাদের শৈশব! একদম ছবির মতো। চাঁদের দিকে তাকিয়ে সেসব কথা ভাবছিলাম। হঠাৎ গায়ে খানিকটা শীতল হাওয়া অনুভূত হলো। প্রকৃতিতে হাওয়া বইছে। হাওয়া খেতে খেতে বাগানে চলে আসি। নাকে এসে লাগল হাসনাহেনার সুবাস। মন সত্যি প্রফুল্ল হয়ে উঠল। অনেকক্ষণ বাগানে ছিলাম। বিদ্যুৎ আসার পর রুমে ফিরি। এই যে হঠাৎ রাতের আধারে চাঁদ আর ফুলের সঙ্গে দারুণ শখ্য হলো, সেটা অপার আনন্দই দিয়েছে আমাকে। মাঝেমধ্যে এভাবে প্রকৃতি দেখারও দরকার আছে বলে উপলব্ধি এসেছে মনে।
মো.আবীর আল-নাহিয়ান, জকিগঞ্জ, সিলেট
মায়ের ভালোবাসা
পৃথিবীর যেমন একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলো চাঁদ, মা হলো সন্তানের কাছে তেমনি একটি চাঁদ। চাঁদ যেমন পৃথিবীতে তার কোমল আলো ছড়িয়ে দেয়, তেমনি মা তাঁর সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন ভালোবাসা। সন্তানদের রাখতে চান তার ছায়াতলে। কিন্তু আজ আমি জীবনের তাগিদে মায়ের সেই ছায়াতল থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে। ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ছে মায়ের সেই ভালোবাসা, মমতা, স্নেহ, আদরের কথা। বারবার মনে হয়, ছুটে চলে যাই মায়ের কাছে। মায়ের সেই আদরমাখা ভালোবাসা আজ খুব বেশি মনে পড়ছে। তাই মনের বাক্সের মাধ্যমে মাকে জানিয়ে দিলাম আমার মনের কথা।
মাহফুজুর রহমান, নরসিংদী সরকারি কলেজ
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’