যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে ১০ ঘণ্টা শপিংয়েও আপত্তি নেই রজার ফেদেরারের
আটবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন, টেনিসের সর্বকালের সেরাদের একজন রজার ফেদেরার টেনিস থেকে অবসরের পর স্ত্রী-সন্তানকে সময় দিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী মিরকা ভ্যাভিরিনেকও সাবেক পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। বয়সে মিরকা রজারের ৪ বছরের বড়। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে প্রথম দেখা এই জুটির। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। দুজনে একসঙ্গে খেলারও সিদ্ধান্ত নেন। ২০০২ সালে হপম্যান কাপে দ্বৈত বিভাগে অংশ নেন রজার-মিরকা জুটি। সে বছরেই পায়ে চোট পেয়ে মিরকা অবসর নিতে বাধ্য হন।
অবসরে গিয়ে রজার ফেদেরারের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন মিরকা। তখন রজারের প্রায় সব ম্যাচেই মিরকাকে দেখা গেছে স্টেডিয়ামে। ২০০৯ সালের এপ্রিলে বিয়ে করেন এই জুটি। একই বছরের জুলাইয়ে মাইলা ও শার্লিন নামে দুই কন্যার মা-বাবা হন মিরকা ও রজার। ২০১৪ সালের মে মাসে লিও ও লেনি নামের যমজ পুত্রসন্তান আসে তাঁদের কোলজুড়ে।
কেবল ব্যক্তিগত জীবনই নয়, ক্যারিয়ারের সফলতাও স্ত্রী মিরকার সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভোলেননি ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী রজার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর বলেছেন, ‘মিরকা আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না। আমিও মিরকাকে ছাড়া থাকতে পারি না। বছরের পর বছর সে আমার পাশে থেকে সমর্থন জুগিয়েছে। মিরকা ছাড়া এত সব কীভাবে সামলাতাম, জানি না!’
রজার আরও বলেন, ‘আমার যখন কিছুই ছিল না, তখন মিরকা ছিল। এখন আমার ৮৯টি ট্রফি আছে, এখনো মিরকা আছে। ও ছাড়া এত সফলতার কিছুই সম্ভব হতো কি না সন্দেহ।’
লাজুক, অন্তর্মুখী স্বভাবের রজার ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। পারতপক্ষে সন্তানদের জনসম্মুখে আনেন না। সন্তানদের ছবিও প্রকাশ করেন না। তবে মাঝেমধ্যে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের ঘুরে বেড়ানোর ছবি শেয়ার করেন।
সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রজার লেখেন, ‘ছুটিতে আমরা নিজেদের ভূমিকা বদলে ফেলি। তখন আমার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সে (মিরকা)। ছুটির দিনে সে যা চায়, আমি তা-ই করি। ও যদি ১০ ঘণ্টার জন্যও শপিংয়ে যায়, আমি ওকে সঙ্গ দিই। কেননা প্রতি টুর্নামেন্টে ওকে ১০ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা যখন একসঙ্গে থাকি, তখন চেষ্টা করি ওকে খুশি রাখতে। কেননা ও-ই কেবল সব দিয়ে যাবে, তা হয় না। সম্পর্ক কেবল দেওয়া অথবা কেবল নেওয়ার ওপর টিকে থাকে না।’
এই পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘রজার যা বলছেন, তা সত্য। আমি ওদেরকে নিউইয়র্কে ম্যাকের স্টোর থেকে কেনাকাটা করতে দেখেছি। মিরকা একটা লাল লিপস্টিক কিনছিলেন। পাশে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন রজার।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘রজার একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক, সঙ্গীর প্রতি শতভাগ বিশ্বস্ত। তিনি ঠিক তেমন পুরুষ, যেমন পুরুষকে প্রত্যেক নারীই জীবনসঙ্গী হিসেবে চায়।’