সম্পর্কে চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে না তো
সম্পর্ক মানেই একে অপরের প্রতি চাহিদা তৈরি হওয়া। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সে চাহিদার বাঁধ ভেঙে যায়। সম্পর্কে এক পক্ষের তৈরি হওয়া অতিরিক্ত চাহিদা কোণঠাসা করে ফেলে অন্য পক্ষকে। সুন্দর একটা সম্পর্ক অতিরিক্ত চাহিদার চাপে পিষ্ট হলে নানান সমস্যা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আমরা কতটা সচেতন? আর কীভাবেই–বা বুঝবেন সম্পর্কে আপনার চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে?
অতিরিক্ত প্রশংসা শুনতে চাওয়া
আমরা সবাই প্রিয় মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা কিংবা ভালো কথা শুনতে চাই। কোনো কোনো সময় কারও কাছ থেকে শোনা ভালো একটা কথা বদলে দিতে পারে পুরো দিনের অবস্থা। তবে আপনি যদি তার মতামতের চেয়ে প্রশংসাই বেশি শুনতে চান, তবে বুঝতে হবে আপনার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা
প্রিয় মানুষকে ছাড়া একটা দিন তো দূরে থাক, কয়েক ঘণ্টাও না কাটাতে পারা হতে পারে অতিরিক্ত চাহিদার লক্ষণ। সম্পর্কের বাইরেও সঙ্গীর একটা আলাদা জীবন আছে, তাকেও সময় দিতে হয় নানান ক্ষেত্রে। আপনি যদি সে সময়টা তাকে না দেন, তবে তা অতিরিক্ত চাহিদার ইঙ্গিত।
অযথা ঈর্ষান্বিত হওয়া
ঈর্ষা তৈরি হয় অবিশ্বাস থেকে। আপনার সঙ্গীর প্রতি যদি আপনার পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস থাকে, তাহলে আপনি সহজেই ঈর্ষান্বিত হবেন না। হ্যাঁ, প্রিয় মানুষের প্রতি অধিকার দেখানো সব সময় খারাপ কিছু নয়। তবে অতিরিক্ত হয়ে গেলে সম্পর্কের ওপর বেশ খারাপ প্রভাব ফেলে।
প্রিয় মানুষকে ছাড়া জীবন কল্পনা করতেও ভয় পান
সম্পর্কে অনেক সময়ই এক পক্ষ এতটাই অন্য পক্ষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে যে তাকে ছাড়া জীবন শূন্য মনে হয়। তাকে ছাড়া যেন আপনি জীবনই কাটাতে পারবেন না। এমন চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকা মানেই সম্পর্কে আপনার চাহিদা অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্রমাগত পরিবর্তন করার চেষ্টা
সম্পর্কে জড়ালে অনেকেই বদলে যায়। প্রিয় মানুষের সঙ্গে থাকতে থাকতে পছন্দের মানুষের পছন্দ-অপছন্দ একান্ত নিজের হয়ে যায়। স্বাভাবিক পরিবর্তন খারাপ কিছু নয়। কিন্তু সেই পরিবর্তন যখন অন্য পক্ষ চাপিয়ে দেয়, তখন তা অতিরিক্ত চাহিদারই ইঙ্গিত দেয়।
সম্পর্ক হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সম্পর্কে একে–অপরের প্রতি নির্ভরশীল হওয়া, চাহিদা থাকা ততক্ষণই ভালো, যতক্ষণ পর্যন্ত দুই পক্ষের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। কিন্তু যখন থেকে এই চাহিদা স্বাভাবিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে, তখন থেকেই তা ক্ষতিকর।
তথ্যসূত্র: লাইফ হ্যাক