মুখে না বললেও নারীরা সঙ্গীর কাছ থেকে যা আশা করেন
সঙ্গীর না–বলা কথা বুঝে নিতে পারলে সম্পর্ক সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে নারী সঙ্গীর চোখে লুকিয়ে থাকা কথা পড়ে ফেলতে পারলে দাম্পত্য হয় সুখের। তাই নারীরা মনে মনে সঙ্গীর কাছে কী আশা করেন, সেসবই জেনে রাখুন।
আবেগময় সমর্থন
অধিকাংশ নারী সঙ্গীর কাছ থেকে ‘ইমোশনাল সাপোর্ট’ বা আবেগময় সমর্থন আশা করেন। তবে এই প্রত্যাশা তাঁরা মুখ ফুটে সহজে প্রকাশ করেন না। তাঁরা সঙ্গীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহানুভূতি আশা করেন। তাঁদের প্রত্যাশা, সঙ্গী যেন তাঁদের চোখের ভাষা পড়তে পারে। খারাপ সময়ে যেন তাঁদের মনের কথা বুঝতে পেরে পাশে থাকে।
হুটহাট চমক
চমক বলতে বিশাল কিছু হতে হবে, তা নয়। হুট করে এক বিকেলে মুঠোফোনে রোমান্টিক খুদে বার্তা, এক সন্ধ্যায় অপ্রত্যাশিত কোনো উপহার কিংবা মাঝেমধ্যে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া—নারীরা এসব পছন্দ করেন। তবে এসব চাওয়া কিন্তু কখনো তাঁরা মুখ ফুটে বলেন না। পুরুষকে তা বুঝে নিতে হয়।
একান্ত সময় কাটানো
সঙ্গীর সঙ্গে একান্ত কিছু সময় কাটানো নারীদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষেরা বলতে পারেন, বাসায় থাকলে তো একসঙ্গে থাকা হচ্ছেই। মনে রাখবেন, একসঙ্গে থাকা আর একান্ত সময় কাটানো ভিন্ন বিষয়। ধরুন এক–আধটু আলাপচারিতা, সিনেমা দেখা, বাগান করা, দুজনে মিলে কিছু একটা করা কিংবা টুকরা টুকরা স্মৃতি জমিয়ে রাখা—এসবই একান্ত সময় কাটানো। অর্থাৎ কেবল একসঙ্গে এক বাসায় বা কোনো স্থানে থাকার চেয়েও একটু বেশি কিছু। আর এসবও পুরুষ সঙ্গীকে বুঝে নিতে হয়।
ভালোবাসা ও মনোযোগ
একটু উষ্ণ আলিঙ্গন, কপালে চুম্বন এঁকে দেওয়া, প্রশংসা এবং যথেষ্ট মনোযোগ—এসবই নারীকে ভালোবাসার অনুভূতি দেয়। আর এসব কখনো তাঁরা মুখে বলে চেয়ে নেন না।
হাতের কাজে টুকটাক সাহায্য
হাতের কাজে টুকটাক সাহায্য করলে, পাশে থাকলে নারীরা খুশি হন। মুখে ‘লাগবে না’ বললেও হাত গুটিয়ে থাকবেন না, বরং পাশে গিয়ে দাঁড়ান, কিছু একটা এগিয়ে দিন। ব্যস, তাতেই অনেক সময় কঠিন বরফও গলে পানি হয়ে যায়।
যথাযথ মর্যাদা
নিজের আবেগ-অনুভূতি, মতামত, ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সঙ্গী যেন যথাযথ সম্মান করে, এটা প্রায় সব নারীর চাওয়া। আর এসব কখনো মুখ ফুটে বলার বিষয়ও নয়। তাই পুরুষ সঙ্গী হিসেবে এসব বিষয় মাথায় রাখুন, মেনে চলুন।
সাহস ও অনুপ্রেরণা
আত্মোন্নয়নের প্রচেষ্টায় কিংবা যেকোনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহস জোগানো, অনুপ্রেরণা ও সমর্থন পেলে নারীরা খুশি হন।
ঘনিষ্ঠতা
সঙ্গীর কাছে নারীরা আবেগময় ঘনিষ্ঠতা আশা করেন। নিজেদের মধ্যে আন্তরিক যোগাযোগ এবং ভালো বোঝাপড়াও তাঁদের কাম্য। এসব বিষয় দাম্পত্য সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করে।
নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা
মুখে না বললেও নারীরা পুরুষ সঙ্গীর কাছে নিরাপত্তা আশা করেন। নিরাপত্তা বলতে এখানে অকৃত্রিম ভালোবাসা, সম্পর্কে সৎ থাকা, একে অপরের কাছে স্বচ্ছ থাকা, দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার মতো বিষয়–আশয় বোঝানো হচ্ছে। নিশ্চয়তার সঙ্গেও এসব বিষয় যুক্ত।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া