আলিয়া যাবেন শুটিংয়ে, সন্তানের দেখাশোনার জন্য বাড়িতে থাকবেন রণবীর

লিঙ্গবৈষম্য কমবেশি সবখানেই রয়েছে, এমনকি বলিউডেও। তবে বলিউডের নারী ও পুরুষেরা এখন এ বিষয়ে আগের চেয়ে বেশি সচেতন।

কারিনা কাপুর যখন সাইফ আলী খানকে বিয়ে করেন, তখন সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন, বিয়ের পরও তিনি ক্যারিয়ার চালিয়ে নেবেন কি না। এমন প্রশ্নে যারপরনাই বিরক্ত হয়েছিলেন কারিনা। সাংবাদিকদের উল্টো প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বিয়ে তো আমি একা করিনি। সাইফও করেছে। ওকে কেন আপনারা এই প্রশ্ন করছেন না যে বিয়ের পর সিনেমা করবে কি না।’ কারিনা যখন প্রথম সন্তানের মা হন, তখনো একই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। শুনে কারিনা বলেছিলেন, ‘প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, মা হওয়া এগুলো জীবনেরই অংশ। এর সঙ্গে পেশাজীবন মেলানো কেন?’ কেন নারীদেরই প্রতিবার এমন সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, সংসার করা বা সন্তান বড় করার দায়িত্ব কি মায়ের একার? এমন সব প্রশ্নও তুলেছিলেন কারিনা।

সময়ের সঙ্গে বলিউডের এই চিত্র খানিকটা হলেও বদলেছে। ১৪ এপ্রিল বিয়ের পর ৬ নভেম্বর মা হন আলিয়া, বাবা রণবীর। মা হওয়ার পর মাত্র ছয় মাস শুটিং থেকে বিরতি নিয়েছিলেন।

এর মধ্যেও ঠিকই হেঁটেছেন মেট গালায়। প্রয়োজনীয় ফটোশুট সেরেছেন। নিজের ব্যবসা দেখাশোনা করেছেন। চিত্রনাট্য পড়েছেন। মা হওয়ার পর ফ্যাট কমিয়ে আরও ফিট হয়ে ফিরেছেন। জানিয়েছেন, শিগগিরই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ‘জিগরা’ সিনেমার টানা শুটিংয়ে। কাজে ব্যস্ত থাকায় একমাত্র মেয়ের দেখাশোনা করতে তাই সব কাজ থেকে আপাতত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন রণবীর কাপুর। সম্প্রতি জুম মিটিংয়ে ভক্তদের সঙ্গে এক আড্ডায় এ কথা জানান রণবীর।

রণবীর বলেন, ‘আমি আর আলিয়া দুজনে আমাদের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছি। আমি আমার সিনেমার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছি। আলিয়ার শুটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘরেই থাকব, রাহার দেখাশোনা করব।’

এর আগে রণবীর কাপুর আলিয়া ভাটের লিপস্টিক দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন। তিনি বলেছিলেন যে লিপিস্টিক দেওয়া তাঁর পছন্দ না। এ কারণে আলিয়াকে লিপিস্টিক মুছে ফেলতেও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে নেটিজেন। এক কথায় তাঁরা রণবীর কাপুরকে বলেছে ‘টক্সিক’।

উত্তরে জুম আড্ডায় রণবীর বলেন, আরোপিত কোন কিছুই তাঁর পছন্দ নয়। আর এটা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দের ব্যাপার। আরও জানিয়েছেন, তিনি যে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে নেই, এ কারণেই মানসিকভাবে সুস্থ্য আছেন!