‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
দুই বছর আগে তোমাকে প্রথম দেখার সেই মুহূর্তটা আজও মনে পড়ে। চোখে চোখ রাখা, ভালো লাগা। তোমার দর্শনে এক অদ্ভুত শান্তির খোঁজ পেয়েছিলাম। কিন্তু তারপর দুই বছর চলে গেলেও এখনো মনের কথাটা তোমাকে বলতে পারিনি। হয়তো সাহসের অভাব, নয়তোবা তোমাকে হারানোর ভয়। আর হয়তো বেশি দিন নেই। দু-তিন মাসের মধ্যে আমাদের দূরত্বটা হয়তো আরও বেড়ে যাবে। দুই বছরে যেটা বলতে পারিনি, দুই মাসেও হয়তো পারব না। তবু আশা ‘মনের বাক্স’র এই লেখা তুমি পড়বে আর হঠাৎ হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, ‘আমি সরি।’
আবদুল্লাহ ইফতি
লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম
তুমি কি আমার জীবনের ভুলগুলোকে ফুল বানিয়ে দেবে?
প্রিয় তিথি,
দেখা হয় না কথা হয় না, তবু কোথাও না কোথাও তুমি আমার। দুঃসময়ে মনের কোণে জেগে ওঠা তোমার ছবি আমাকে নতুন করে পথচলার শক্তি জোগায়। তুমি আবার এক অসময়ে এসে আমার হাতটা ধরো আর অনন্তকাল ধরে রেখে দিয়ো। আমার জীবনে যত কষ্ট আছে, তোমার হাত ধরে ভুলে যেতে চাই। তুমি কি আমার জীবনের সব ভুলকে ফুল বানিয়ে দেবে? নাকি অতীতের মতো তুমিও আমাকে অতীত হয়ে কাঁদাবে? জানি না আমার অতীতে যা হয়েছে, তা তুমি মেনে নিতে পারবে কি না। তোমার অতীতে যা হয়েছে, তা শোনার আগেই আমি তোমার সবকিছু মেনে নিলাম এই বিশ্বাসে যে তুমি আমার নির্দোষ বিশ্বাসটাকে আজীবন মর্যাদা দেবে।
আসিফ উল আলম
হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট
উত্তর দাও তনু
জানি তুমি ভালো নেই, তনু। আমিও খুব খারাপ আছি। কথা ছিল খারাপ সময়ে দুজনে দুজনের পাশে থাকব। কিন্তু নিয়তি বারবার আমাদের বিরোধিতা করেছে। আমি মন থেকে সব সময় তোমার সঙ্গেই আছি। বহুদিন তোমায় দেখি না। অনেক দিন ধরে কোনো কথাও হয় না। আমার মনে সব সময় প্রশ্ন, ‘এই দূরত্বই কি তোমাকে আমার কথা আরও বেশি করে মনে করিয়ে দেয়?’ আমি তোমার জীবনে আসক্তি হয়ে এসেছি, নাকি ভালোবাসা?
উত্তর দিয়ো তনু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
মনের বাক্সে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’