বিচ্ছেদ অবিশ্বাস্য রকম কঠিন আর অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া: শাকিরা
সম্পর্কের সব রংই যেন দেখা শেষ। প্রথম প্রেমে আর্থিক প্রতারণা আর এবার পরকীয়ার মতো প্রতারণা! বিচ্ছেদের পর এই প্রথম এ বিষয়ে কথা বললেন শাকিরা।
‘এলে’ ম্যাগাজিনকে জীবনের সর্বশেষ কয়েক মাস সম্পর্কে বললেন, ‘এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময়।’
যদিও শাকিরা সরাসরি স্প্যানিশ ফুটবলার ও বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মুখ খোলেননি। জিজ্ঞেস করা হলে কেবল বলেছেন, ‘এই প্রথম আমাকে বিষয়টি নিয়ে কোনো সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলো। এটা নিয়ে কথা বলা খুবই কঠিন। কেননা, আমি এখনো এটার ভেতর দিয়েই যাচ্ছি। আর আমাদের বিচ্ছেদ কোনো স্বাভাবিক বিচ্ছেদ নয়।’
৪৫ বছর বয়সী কলম্বিয়ান এই সংগীত তারকা কেবল নিজে নন, জানালেন তাঁদের দুই সন্তানও মা–বাবার বিচ্ছেদযন্ত্রণায় কাতর। বললেন, ‘বিচ্ছেদ অবিশ্বাস্য রকম কঠিন আর অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া। বিশেষ করে আমাদের মতো মানুষদের জন্য, যাঁদের ওপর ২৪–৭ ক্যামেরা তাক করা থাকে। কিছুদিন বাচ্চাদের নিয়ে যে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকব, সে উপায়ও নেই। বিশ্বে এমন কোনো জায়গাই নেই। আর আমার বাড়ির সামনে সারা দিন, সারা রাত পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা তাক করা থাকে। আমি যে বাচ্চাদের নিয়ে এক সন্ধ্যায় একটা সাধারণ মায়ের মতো বাইরে একটা আইসক্রিম খেতে যাব, সে উপায়ও নেই।’
শাকিরা জানান, নিজের ভেঙে পড়া অবস্থা তিনি বাচ্চাদের দেখাতে চান না। বিশ্বের অন্য যেকোনো মায়ের মতোই তিনি ৯ বছর বয়সী মিলান আর ৭ বছরের সাশাকে সব নেতিবাচকতা থেকে রক্ষা করতে চান। শাকিরার সঙ্গে পিকে যে বাসায় থাকতেন, সেটি তাঁকে ছাড়তে হয়েছে অনেক আগেই। বার্সেলোনায় একটি বাসায় একা থাকছেন ৩৫ বছর বয়সী পিকে। তবে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা যে পিকেকেও চেপে ধরেছে, তা তাঁর কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট। রাত দুইটা-তিনটা পর্যন্ত পার্টিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন পিকে।
পিকে অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সে নারীর পরিচয় বের করারও চেষ্টা চলছে। নাম প্রকাশ না পেলেও সে নারী যে বিশের কোটায়, তাঁর চুলের রং কী এবং তাঁর পেশা কী—এসবই জানা হয়ে গেছে ফুটবল অনুসারীদের।