বাবার সামনে চোখ তুলে কথা বলেন না সালমান খান
চলছে সালমান খানের ‘টাইগার থ্রি’। সঙ্গে চলছে এই সিনেমার নানা খুঁটিনাটি আর অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে আলাপ। সেই আলাপে যোগ দিয়েছেন ভারতের সবচেয়ে নামকরা চিত্রনাট্যকার ও গীতিকারদের একজন জাভেদ আখতার। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, সালমান খান তাঁর মা–বাবার সেরা সন্তান। আর তিনি কখনোই বাবার সামনে চোখ তুলে তাকান না।
জাভেদ আখতার বলেন, মা–বাবাকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, তা সালমানের চেয়ে আর কেউ ভালো করে জানেন না। তাঁদের (মা–বাবাকে) সময় দেওয়া, দেখাশুনা করা, কথা বলা, তাঁদের কথা মন দিয়ে শোনা, সুবিধা-অসুবিধা দেখা—সবই করেন সালমান খান। ভারতে মা–বাবাকে দেখে রাখার যে ঐতিহ্য, তা বড় ছেলে সালমানই সবচেয়ে ভালোভাবে পালন করেন।
সালমান খানের বাবা সেলিম খান ও জাভেদ আখতার এক সময়কার খুবই ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। এই দুজনকে একসঙ্গে ডাকা হতো সেলিম-জাভেদ। এই জুটি একসঙ্গে বেশ কিছু ক্ল্যাসিক সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন। ‘শোলে’, ‘ইয়াদো কি বরাত’, ‘জঞ্জির’, ‘দিওয়ানা’, ‘ত্রিশুল’, ‘কালা পাথার’, ‘দোস্তানা’, ‘সীতা ঔর গীতা’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘ডন’-এর মতো বলিউডের কালজয়ী সিনেমার চিত্রনাট্য এই দুজনের লেখা।
সালমানও বাবার পিটুনি খেয়ে ‘বড়’ হয়েছেন
সালমান খানও তাঁর একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তিনি তাঁর বাবা সেলিম খান ও মা সালমা খানের খুবই ঘনিষ্ঠ। ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে সালমান খান জানিয়েছিলেন যে ছোটবেলায় তাঁদের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভালো ছিল না। সেই সময় একবার তাঁর বাবা তাঁকে পিটিয়েছিলেন।
অবশ্য তিনি পিটুনি খাওয়ার যোগ্য কাজ করেছিলেন বলেও স্বীকার করেন। সালমান বলেন, ‘আমাদের তখন বিশেষ টাকাপয়সা ছিল না। তখন চিত্রনাট্য লিখে তেমন আয়ও হতো না। আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে চাচার বাসায় হাজির হতাম সকালের নাশতা খেতে। সেই সময় একবার আমি আমার বাবার এক মাসের বেতন ম্যাচ দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। আমি খুবই বোকার মতো কাজ করেছিলাম। পিটুনিটা আমার দরকার ছিল।’
মা নাকি বাবা, সালমান খানের কাছে কে বেশি কাছের?
সালমান ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে খুবই সম্মান করি। আমার আইডল বলে যদি কেউ থেকে থাকেন, সে আমার বাবা। আমি বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ। তবে মায়ের সঙ্গে আরেকটু বেশি। কেননা, বাবাকে সব কথা বলা যায় না, কিন্তু মাকে সব বলা যায়। আমি যখন স্কুলে ফেল করেছি বা গাড়ি ধাক্কা লাগিয়ে দুমড়ে ফেলেছি, প্রতিবার মাকে এসে বলেছি।’