সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে এই পাঁচটি কাজ করুন
নাটক-সিনেমায় কত সহজেই না সম্পর্ক হয়ে যায়। এক এফডিসির সিঁড়িতেই কত যে সিনেমায় প্রেম হয়েছে! তারপর সময়ের সঙ্গে কেবলই গাঢ় হয়ে শেষে বিয়েতে পায় পরিণতি। কিন্তু বাস্তবে সম্পর্ক এত সরলরৈখিক নয়। সামনে আসে কঠিন সব বিষয়। সেগুলো ঠিকঠাক সামলাতে না পারলে নেমে আসে বিপর্যয়। সম্পর্কেও, জীবনেও। আর তাই স্বাস্থ্যকর যৌথ জীবন নিশ্চিত করতে এসব ব্যাপারে থাকতে হবে সংবেদনশীল। সে জন্য মনোযোগ দিন এই পাঁচটি কাজে।
পরস্পরকে শ্রদ্ধা করুন
শুনতে সহজ মনে হলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ধরে রাখা বেশ কঠিন। বিশেষ করে দীর্ঘদিন একসঙ্গে চলে পরস্পরের ভেতর-বাইরের সবই যখন জানা হয়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক যে রাজনীতি, অর্থনীতির মতো খটোমটো বিষয় থেকে শুরু করে পছন্দ-অপছন্দ, পরিবার ইত্যাদি নৈমিত্তিক বিষয়েও দুজনের মধ্যে মতভেদ থাকবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখতে না পারলে এগুলোও প্রভাব ফেলতে পারে আপনাদের সম্পর্কে।
কখন বলবেন ‘পরিচয়’ থেকে ‘প্রণয়’
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা এককথায় স্বীকার করবেন, সম্পর্ক কখন ‘পরিচয়’ থেকে ‘প্রণয়’ হয়, সেটা জটিল এক রহস্য। এখনকার সম্পর্কগুলোয় তা আরও জটিল। কারণ, জীবনের মতো এখন সম্পর্কও বদলায় দ্রুত।
সে জন্য মনোযোগ দিন পারস্পরিক যোগাযোগে। খেয়াল করুন, আপনার সঙ্গী প্রতিশ্রুত হওয়ার ব্যাপারে কতটা জোর দিচ্ছেন।
যোগাযোগের গভীরে সমস্যা রাখবেন না
দুজন নিয়মিত কথা বলুন। যত সমস্যাই হোক, চেষ্টা করুন কোনো কিছু গোপন না করতে। পরস্পরের প্রতি যতটা সম্ভব খোলামেলা থাকুন। সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শুনুন। অধিকাংশ সম্পর্কে সমস্যার শুরু হয় এখান থেকেই। নিয়মিত দেখা করুন। একসঙ্গে সময় কাটান। সেই সময়টা প্রযুক্তির বাইরে পরস্পরের সান্নিধ্যে থাকুন।
আপস করুন
সুন্দর সম্পর্কের সবচেয়ে পুরোনো, কার্যকর ও কঠিন সূত্র হলো আপস করা। আপনি হয়তো আপনার জন্য শতভাগ উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাবেন, কিন্তু শতভাগ আপনার মতো সঙ্গী খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। সব ব্যাপারে দুজনের মতো কখনোই মিলবে না। পছন্দ তো নয়ই। কাজেই করতে হবে আপস এবং তাতে ভারসাম্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুজনকেই যেমন আপস করতে হবে, তেমনি খেয়াল রাখতে হবে, এটা করতে গিয়ে যেন কোনো একজনের ব্যক্তিত্বের সীমা খর্ব না হয়।
ঝগড়া-বিবাদ ভুলে যান
না, ঝগড়া না করার চেষ্টা করবেন না। সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হবে। তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব হবে। মাঝেমধ্যে তুমুল ঝগড়াও হবে। কিন্তু সেগুলো ধরে বসে থাকা চলবে না। অন্য বিষয়ের আলাপে আবার সেই প্রসঙ্গ টেনে আনলে তাতে কেবলই সম্পর্ক তেতো হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। যত দ্রুত সেসব ভুলে যেতে পারবেন, ততই মঙ্গল।
তথ্যসূত্র : দ্য ইনডিপেনডেন্ট