বিয়েতে কেন সাদা গাউন আর সংবর্ধনায় কমলা জামদানি পরেছেন স্বাগতা

মিনিমালিস্টিক সাজপোশাক, সাদা, পিচ বা বিঞ্জজাতীয় হালকা রং বিয়েতে এখন বেশ ট্রেন্ডি। আর ২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সালেও ট্রেন্ডে সূর্যের রং, আশার রং, রোমাঞ্চের রং কমলা! এর সবই উপস্থিত ছিল স্বাগতার বিয়েতে। গায়িকা ও অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা ও হাসান আজাদের বিয়ে। স্বাগতার জীবনসঙ্গী একাধারে মিউজিশিয়ান, ব্যবসায়ী ও প্রযোজক। দেখে নেওয়া যাক, বিয়ের তিন আয়োজনের ছবি।

১ / ১৫
২৪ জানুয়ারি পরিবারের কাছের কয়েকজনকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা
ছবি: সংগৃহীত
২ / ১৫
এদিন স্বাগতার পরনে ছিল টকটকে লাল মিনিমালিস্টিক কাজের কাতান শাড়ি। শাড়িটির ডিজাইন করেছেন সাফিয়া সাথী
ছবি: সংগৃহীত
৩ / ১৫
হাসান আজাদের পরনে ছিল একই ডিজাইনারের নকশা করা সাদা পাঞ্জাবি
ছবি: সংগৃহীত
৪ / ১৫
বিয়েতে নিজের মেকআপ নিজেই করেছেন স্বাগতা। গয়না বলতে গলায় একটা চিকন সোনার চোকার, সঙ্গে মিলিয়ে কানে ছোট্ট দুল
ছবি: সংগৃহীত
৫ / ১৫
দুই বোনের এই ছবিটির কেবল একটাই ক্যাপশন হতে পারে, ‘সিস্টার গোলস’
ছবি: সংগৃহীত
৬ / ১৫
সেদিন সন্ধ্যায় দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের রেইন ড্রপ ক্যাফেতে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ে–পরবর্তী গেট টুগেদার
ছবি: সংগৃহীত
৭ / ১৫
এদিন কনের সাদা স্ট্রেপলেস সাটিন গাউনের ডিজাইনও করেছেন সাফিয়া সাথী। বর হাসানের শার্ট, টাই আর সাদা জ্যাকেটও হয়েছে এই তরুণ মেধাবী ডিজাইনারের নকশায়
ছবি: সংগৃহীত
৮ / ১৫
এদিন কনের মেকআপ করেছে রাজিয়াস মেকওভার। বিয়ের মতো এই গেট টুগেদারেও কনের সাজপোশাক ছিল একেবারেই মিনিমাল। এমনকি গাউনেও ছিল না কোনো কারুকাজ। আলাদা করে কেবল লেসের ট্রেনটা চোখে পড়ে। এ সময়ও বিয়ের গয়নাটাই ছিল স্বাগতার গলায়, কানে। কেন গাউন—জানতে চাইলে স্বাগতা বলেন, ‘হাসানের জন্ম ও বড় হওয়া যুক্তরাজ্যে। ও ব্রিটিশ। তাই বিয়ের একটা আয়োজনে যুক্তরাজ্যের বিয়ের সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে চেয়েছি।’
ছবি: সংগৃহীত
৯ / ১৫
বিয়ের তিন আয়োজনের ভেতরে সবচেয়ে জমকালো ছিল ২৭ তারিখে পূর্বাচলের ১০০ ফিটে পেপার ট্রি ক্যাফের সংবর্ধনা আয়েজন
ছবি: সংগৃহীত
১০ / ১৫
এদিন স্বাগতার পরনে ছিল কমলা রঙের জামদানি শাড়ি, জামদানি ওড়না। শাড়িটি নেওয়া হয়েছে জোহরা খানের সংগ্রহ থেকে। স্বাগতা বলেন, ‘এই শাড়িটি আসলে জাদুঘরে যে ধরনের জামদানি শাড়ি প্রদর্শনীর জন্য রাখা থাকে, সেই ধরনের। খুবই পাতলা সুতার পাতলা একটা জামদানি শাড়ি। পরেও বেশ হালকা আর স্বাচ্ছন্দ্য লাগে।’
ছবি: সংগৃহীত
১১ / ১৫
হাসানের পরনে ছিল কমলা রঙের শেরওয়ানি। সেটি এমব্রয়ডারি করে বানিয়েছেন সাফিয়া সাথী। আর মাথায় ছিল সাদা কাপড়ে প্যাঁচানো পাগড়ি।
ছবি: সংগৃহীত
১২ / ১৫
এই আয়োজনে আগত অতিথিদের জন্য ছিল পাপেট শো, আতশবাজি, ফুড ওয়াকের জন্য ছিল হাওয়াই মিঠাই, পিঠা, ফুচকা, ঝালমুড়ি। ছিল পেশাদার শিল্পী আর আগত অতিথিদের গান
ছবি: সংগৃহীত
১৩ / ১৫
এই জুটি নিজেরাও গান শুনিয়েছেন অতিথিদের। এক পাশে ক্যারিকেচার এঁকেছেন স্বাগতার বন্ধু তন্ময়। আর ডিনার তো ছিলই
ছবি: সংগৃহীত
১৪ / ১৫
নিজেদের সাজপোশাকে রেখেছেন ‘সিমপ্লিসিটি’। এদিকে আগত অতিথিদের জন্য রেখেছেন নানা আয়োজন। যাতে তাঁরা উপভোগ করতে পারেন
ছবি: সংগৃহীত
১৫ / ১৫
বিয়ের তিন আয়োজনেই সাজ বা পোশাকে ছিল না বাড়াবাড়ি। কেন? স্বাগতা বললেন, ‘আমার নিজেরই ভারী মেকআপ, গয়না, পোশাক পছন্দ করি না। আমি সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া কথায় বলে, র‍্যাম্প মডেলদের হতে হয় একেবারেই সাধারণ চেহারার, শুকনা, এক্সপ্রেশনলেস। যাতে তাঁরা যে পোশাক বা অনুষঙ্গই “ক্যারি” করেন না কেন, সেটার ওপর নজর পড়ে, সেটাকে জমকালো লাগে। অন্যদিকে নিজেকে জমকালো দেখানোর জন্য আমি তাই সাজপোশাক একেবারেই মিনিমালিস্টিক রাখি। যাতে ব্যক্তি আমি–ই ফোকাসে থাকি।’
ছবি: সংগৃহীত