প্রেমিকার রাগ ভাঙানোর যত উপায়
সব সম্পর্কই কমবেশি উত্থান–পতনের ভেতর দিয়ে যায়। এসব পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে সম্পর্ক যে কেবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তা–ই নয়; বরং পোক্তও হয়। বিপর্যয় সামলে আরও শক্তিশালী হয়। সম্পর্কের টানাপোড়েনে দুই পক্ষকেই আন্তরিক হতে হবে সমাধানের ব্যাপারে। ভুলটা যে করেছেন, রাগ ভাঙানোর দায়িত্বও তাঁর। অনেক সময় দেখা যায়, একদিকে ভালোবাসার মানুষটা রাগ করে থাকলে কিছুই ভালোও লাগে না, আবার অনেকেই রাগ ভাঙানোর ঠিকঠাক উপায়টাও জানেন না। এর ফলে রাগ কমা তো দূরের কথা, ভাঙাতে গিয়ে আরও রাগ বাড়িয়ে ফেলেন। পুরুষেরা দেখে নিন, কী কী উপায়ে অল্প সময়ে প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে পারবেন। নারীরাও পড়ে ফেলুন, আপনার সঙ্গীকে পরামর্শ দিতে পারবেন।
১. কিছু না করে: প্রেমিকার রাগ ভাঙানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, তাঁকে সময় দিন, স্পেস দিন। সাধারণত ঝগড়া লাগলেই আমরা তড়িঘড়ি করে সেই ঝগড়া ঠিক করতে চাই, যুক্তিতর্ক জড়ো করে আরও বেশি কথা বলতে চাই। অথচ কয়েক ঘণ্টা বা দুই–এক দিন সময় দিলে কিন্তু রাগটা আপনাআপনিই চলে যেত।
২. মিম বা গান পাঠান: রাগারাগির সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কে আগে নক করবে হোয়আটসঅ্যাপে! সাধারণত এ রকম সময়ে স্বাভাবিক কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাগ করলে মানুষ ওই রাগের সময়ের কথাগুলোই ধরে রাখে। আপনি মজার একটা মিম বা পছন্দের একটা গান পাঠাতে পারেন। এতে রাগ উবে গিয়ে আপনার প্রেমিকার মুখে হাসি ফোটার সম্ভাবনা অনেকখানি।
৩. উপহার পাঠান: আজকাল বিভিন্ন পেজে রাগ ভাঙানো প্যাকেজ পাওয়া যায়। বিভিন্ন দামের উপহারের ডালা পাওয়া যায়। এই ডালা পেলে কোন মেয়েটা আর রাগ করে থাকবে? এর সঙ্গে একটা ‘সরি’ চিরকুট জুড়ে দিলে সোনায় সোহাগা। আবার চাইলে কিছু চকলেটও গিফট করতে পারেন। উপহারটা বড় কথা নয়, আপনি যে তাঁকে ভালোবাসেন, এটা বোঝানোই বড় ব্যাপার।
৪. হাজির হয়ে যেতে পারেন বাসার সামনে: কিছুটা ‘সিনেম্যাটিক’ মনে হলেও এটা কাজ করে। যত ঝগড়াই হোক, যত রাগের বরফই থাকুক, আপনি যখন সশরীর তাঁর বাসার সামনে চলে যাবেন, তখন সেই বরফ গলতে বাধ্য।
৫. চিঠি লিখুন: এক শহরে না থাকলে তো আর যখন তখন হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তাই চিঠি লিখতে পারেন। আধুনিকতা যতই আসুক, একটা প্রেমপত্রের ওজন এখনো অনেক বেশি। চিঠি পেয়েও রাগ করে থাকবে, এমন প্রেমিকা আছে নাকি? হতে পারে সেটা হোয়আটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের চিঠি, হতে পারে কাগজের চিঠি। চিঠিতে একটা পরিস্থিতি যতটা গুছিয়ে লেখা যায়, ফোনে সেভাবে বলা যায় না। তর্কাতর্কি হওয়ার ভয় থাকে না। তাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে গুছিয়ে লিখে ফেলুন। দেখা হলে কথা না বলে আগে চিঠিটা ধরিয়ে দিন। তারপর চা নিয়ে বসুন। খোলামনে আলাপ করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলুন।
৬. আলিঙ্গন: যদি রাগ খুব বেশিই হয়ে থাকে, তবে এই রাগ বেশি দিন স্থায়ী হতে দিয়েন না। যখন কোনো কিছুই কাজ করছে না, তখন স্ত্রী বা সঙ্গীকে আলিঙ্গন করে বসুন। কখনো কখনো হাজারটা কথায় যে সমস্যার সমাধান না হয়, আলিঙ্গন তা অনায়াসে করতে পারে। একটা আলিঙ্গন হাজারটা সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারে।
আরেকটা বিষয় হলো, ভুল হলে ইগো ভুলে সরি বলতে পিছপা হবেন না। ক্ষমা চান, প্রেমিকারা আপনার থেকে যুক্তি বা তর্কের চেয়ে বেশি ‘সরি’ শুনতে পছন্দ করেন। মনে রাখবেন, প্রেমিকারা হলো অনেকটা বসের মতো। আর বস? ‘বস ইজ অলয়েজ রাইট’! একটু মানিয়ে নিন। বাকিটা ঠিক হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: উইকিহাউ