২০২৫ সালে জেন-জিদের কাছে জনপ্রিয়তা পাবে সিমার ডেটিং, সেটি আবার কী?

‘সিচুয়েনশনশিপ’, ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’, ‘ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিটস’ তো অনেক হলো। চ্যাটিংয়ের তিন দিনের মাথায় প্রথম দেখা, দ্বিতীয় দিনেই প্রেমের প্রস্তাব, তৃতীয় দিন থেকে ‘ইন আ রিলেশনশিপ’, ছয় মাস যেতে না যেতেই ব্রেকআপ; আবার হন্যে হয়ে লেফট-রাইট সোয়াইপে সঙ্গী খোঁজার দৌড়ে হাঁপিয়ে উঠছে জেন-জি। তাই একটু থেমে, এক পা পিছিয়ে তরুণ প্রজন্ম এবার ঝুঁকছে ‘সিমার ডেটিং’–এর দিকে।

সিমার ডেটিং কী

জেন–জির এন্তার ডেটিং টার্মসের মধ্যে সম্প্রতি জায়গা করেছে ‘সিমার ডেটিং’।ইংরেজি Simmer অর্থ ‘ধীর বা অল্প আঁচ’।

ধীরে ধীরে অল্প আঁচে রান্না করলে যেমন মসলা ভালোভাবে তরকারির ভেতর মেশার সময় ও সুযোগ পায়, পুষ্টিমান থাকে অক্ষুণ্ন, পোড়ার আশঙ্কা কম থাকে আবার খেতে লাগে সুস্বাদু। সম্পর্কও মেনে চলছে রান্নার এই সহজ ও পুরোনো সূত্র।

সম্পর্ক মেনে চলছে ধীরে এগোনোর সহজ ও পুরোনো সূত্র
ছবি: পেক্সেলস

সিমার ডেটিংয়ে প্রথম দিন ডেটে গিয়েই যে তাঁর সঙ্গে প্রেম করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই; বরং তরুণ প্রজন্ম এবার একটু রয়েসয়ে এগোতে চাইছে। প্রেম পর্ব, জানাশোনা, ভাববিনিময়ের মতো প্রক্রিয়াগুলো ধীরে উপভোগ করতে চাইছে তারা। এক কথায়, পাকা কথা দেওয়ার আগে সময় নিচ্ছে, তাড়াহুড়া করতে চাইছে না।

সম্পর্কটাকে নাম দেওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই–বাছাই করা, ধীরে ধীরে প্রেম পর্ব উপভোগ করা, সম্পর্কে চাপ কমানো উদ্দেশ্য বলেই এই সম্পর্কের নাম দেওয়া হয়েছে সিমার ডেটিং। 
আরও পড়ুন

কেন সিমার ডেটিং জনপ্রিয়তা পাচ্ছে

প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি যে ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করেছে, তার মধ্যে অন্যতম সম্পর্ক। অনলাইনের দুনিয়া প্রেমের ধারণা, সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে। তরুণদের ডেটিং ট্রেন্ডে গতি ধীর হতে চলেছে। অনলাইনের দুনিয়ায় সম্পর্কে জড়ানো যত সহজ, ভেঙে ফেলা আরও বেশি সহজ। তাই জেন–জি এবার সম্পর্কে সচেতন হতে চায়। সম্পর্কে থিতু হতে চায়। আর তাই তাঁরা তাড়াহুড়া না করে সিমার ডেটিং নিয়ে আগ্রহী।

একটা মানুষকে চেনা সহজ নয়। সম্পর্কে দুজনের বোঝাপড়া খুবই জরুরি। এই দুইকে প্রাধান্য দিতে ২০২৫ সালে তরুণদের ডেটিংয়ের দুনিয়ায় ট্রেন্ডে থাকবে সিমার ডেটিং।

সম্পর্ক যাতে সুখী, দীর্ঘস্থায়ী ও শান্তিময় হয়, সেটির জন্যই পেছনে ফিরছে তরুণেরা
ছবি: পেক্সেলস

তরুণ প্রজন্ম মানসিক স্বাস্থ্যকে শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্ব দেয়। সম্পর্ক যাতে সুখের হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, শান্তি থাকে, সেটি খুঁজতেই আবার পেছনে ফিরছে তরুণেরা। শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে এখানে আবেগীয় নির্ভরশীলতা, বিশ্বস্ততা, সম্মান, বোঝাপড়া, সম্পর্কের গভীরতাই অধিক গুরুত্ব পায়।

সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড

আরও পড়ুন