মাংস পরিষ্কারের সময় পানির অপচয় রোধ করবেন কীভাবে

প্রতি সপ্তাহে কয়েকবার মাংস খাওয়াই হয়। মাংস যত জলদিই কাটা হয়ে যাক না কেন, ধুয়ে পরিষ্কার করতে অনেক পানি ব্যয় হয়। এটা পানির এক ধরেনর অপচয়ো বটে। সঠিক উপায়ে মাংস, ভুঁড়ি কিংবা কলিজা পরিষ্কার করতে পারলে পানির অপচয় হয় না, সময়ও বাঁচে।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা শরীফ রান্নার আগে মাংস, কলিজা ও ভুঁড়ি পরিষ্কার করার কিছু উপায় জানিয়ে দিলেন।

প্রথম ধাপে বেশি পানি নিয়ে ধুয়ে নিন, যেন রক্তটা ধুয়ে যায়। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে আবার ধুয়ে নিন। চালনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। যতবারই মাংস ধোয়া হোক না কেন রক্ত বের হবেই। তাই বারবার পানির অপচয় না করে সিরকা বা ভিনেগারে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে যেমন রক্তও বের হয়ে যাবে, তেমনি ফরমালিনযুক্ত খাবার বা ইউরিয়া খাওয়ানো প্রাণীর মাংস হলে তা বিষমুক্তও হয়ে যাবে। ভিনেগার থেকে তুলে নিতে চাইলে চালনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে পারেন। পরিষ্কার করার পরপরই মাংস রান্না করে ফেলুন।

কলিজা ও এর আশপাশের অংশে ময়লা বেশি থাকে। প্রথম ধাপে পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। রক্ত ও ময়লা কেটে যাবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে কয়েক দফা ধুয়ে নিন। কলিজা সেদ্ধ করার পর বাকি জীবাণুও কেটে যায়।

প্রাণীর ভুঁড়িতে প্রচুর বর্জ্য থাকে। তাই এর ধোয়ার পদ্ধতিও ভিন্ন।পরিষ্কার করতে সময় লাগে একটু বেশি। প্রথমে চুনের পানিতে ভুঁড়ি ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ।তারপর একদফা ধারালো বঁটি বা ছুরি দিয়ে ঘষে ময়লা ফেলে পরিষ্কার করতে হবে।এবার পরিষ্কার পানিতে একবার ধুয়ে চুলায় হলুদ মেশানো গরম পানিতে ভাপ দিয়ে নিতে হবে। তারপর আরেক দফা বঁটি বা ছুরি দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে।এবার পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

অনেক সময় মাংস ধুতে গিয়ে সিংকের পাইপের রাস্তা চর্বিতে বন্ধ হয়ে যায়। তখন সিংক দিয়ে পানি উপচে পড়ে। বারবার সিংকে পানি ঢালা কোনো সমাধান নয়। এতে শুধু পানির অপচয়ই হয়। তাই মাংস কাটার সময়ই যতটা সম্ভব চর্বি কেটে ফেলে দিতে হবে। ধোয়ার সময় কিছু চর্বি আলাদা করে নিতে পারেন। তারপরও কিছু চর্বি পাইপে জমে থাকে। তখন কুসুম গরম পানি সিংকে ঢেলে দিতে হবে। গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিলে

আরও ভালো হয়। এতে সিংকের পাইপে জমে থাকা চর্বিসহ যাবতীয় ময়লাও ধুয়ে চলে যাবে।