আমাদের সংস্কৃতিতে পরিবারের সাধারণত নারীরাই রান্নার কাজে নিয়োজিত থাকেন। বন্ধু সাদি খানের বিষয়টা ভিন্ন। বাড়িতে সে–ই রান্না করে। রান্না নিয়ে নানা নিরীক্ষা করতে পছন্দ করে। তার রান্না করা অনেক রেসিপিই দারুণ স্বাদের। তার কাছ থেকে হাতে-কলমে আমার সঙ্গে আপনারাও জেনে নিন কাইক্কা মাছ রান্না করার প্রক্রিয়া।
প্রয়োজন ক্রমানুসারে উপকরণ: কাইক্কা মাছ ৭৫০ গ্রাম। দেড় টেবিল চামচ মরিচ ও হলুদগুঁড়া। তেল, পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচ, টমেটো রসুনবাটা। এক টেবিল চামচ ধনিয়াগুঁড়া। আধা টেবিল চামচ জিরাগুঁড়া। আধা চা–চামচ জিরা ও কয়েকটা ধনিয়া পাতা।
সাদি বলে, ‘বড় কাইক্কা মাছ চার টুকরা করে কাটবি। আর ছোটগুলো তিন টুকরা করে কেটে পানি ঝরাতে দিবি। তারপর লবণ, মরিচ, হলুদ ও তেল দিয়ে মাখিয়ে রাখবি।’ কতক্ষণ রাখব? এই প্রশ্নের উত্তরে বলে, ‘মসলা কষানো আগ পর্যন্ত রেখে দিতে হবে।’
মসলা কষানোর প্রক্রিয়া কী? ‘একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি আর আস্ত জিরা ছেড়ে দিবি। হলুদগুঁড়া, কেটে রাখা টমেটো আর লবণ দিতে হবে। কিছু সেদ্ধ হওয়ার পর রসুনবাটা দিয়ে নাড়তে হবে।’
কতটুকু রসুনবাটা আর কত সময় নাড়া লাগবে? ‘এক টেবিল চামচ রসুনবাটা দিবি। কড়াইয়ে লেগে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নাড়াচাড়া করা ভালো। লেগে যাওয়ার উপক্রম হলে এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে ঢেকে রাখবি। পানি একটু শুকালে এক টেবিল চামচ ধনিয়া ও জিরাগুঁড়া আর সাতটি কাঁচা মরিচ ফেড়ে ছেড়ে দিবি। কিছু সময় জ্বাল দিয়ে চেখে নিতে পারিস নুন–মরিচ স্বাদমতো হয়েছে কি না।’
‘এর মধ্যে মাছগুলো হালকা তেলে মিনিট পাঁচেক ভেজে নিতে হবে। কষানোর পর তরকারির মসলার তেল ওপরে ভেসে এলে ভাজা মাছগুলো ঢেলে দিতে হবে। মিনিট দশেক হালকা নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিবি আস্ত জিরাগুঁড়া এবং ধনেপাতা। আগুন বন্ধ করে অন্তত ১০ মিনিট ঢেকে রাখবি। ব্যাস, হয়ে গেল।’
বন্ধু সাদীর সঙ্গে রান্না করে বুঝলাম বিষয়টা এত জটিল নয়! নিজের রান্না নিজে করা আনন্দের, স্বাস্থ্যকর আর স্বাদের।