ইলিশ মাছকে কত রকমের করে যে রান্না করা যায়, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। একেক জায়গার মানুষ একেক রকম করে রান্না করে থাকে। খুব সাধারণভাবে ইলিশ মাছ রান্না করলেও অনেক সময় সেই স্বাদ মুখে লেগে থাকে। প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়।
কেবল মাছ নয় ইলিশের ডিমও দারুণ সুস্বাদু। নানাভাবেই ইলিশের ডিম রান্না করা হয়ে থাকে। এই পদটি খুব কম সময়ে আর কম ঝঞ্ঝাটে রান্না করা যায়। ঝাল কম দিয়ে রান্না করলে বাচ্চারাও খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ইলিশ মাছের ডিম রান্নার এই সহজ রেসিপিটি পাঠকদের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে শেয়ার করেছেন নুসরাত সুলতানা।
উপকরণ
একটি বড় ইলিশ মাছের ডিম, পেঁয়াজ বড় সাইজের ২টি, কাঁচা মরিচ ৩-৪টি, টমেটো ১টি, অল্প ধনেপাতাকুচি, তেল ১ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা–চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
ইলিশ মাছের ডিম ভালো করে পরিষ্কার করে অল্প পানি দিয়ে কচলে নিলে একধরনের তরল খামিরের মতো হয়ে আসে। এরপর চুলায় একটি পাত্রে অল্প তেল দিয়ে গরম হয়ে গেলে বেশি করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে সামান্য হলুদের গুঁড়া ও পরিমাণ মতো লবণ আর অল্প পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর পানিমিশ্রিত ইলিশ মাছের ডিম আস্তে আস্তে ঢেলে অনবরত নাড়তে হবে। যেহেতু মাছের ডিম ছড়িয়ে যায়, তাই পানি একটু বেশি লাগে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে একটি টমেটোকুচি, প্রয়োজনমতো ৩-৪টি কাঁচা মরিচ ভেঙে অথবা ফালি করে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়িয়ে ৫ মিনিটের মতো ঢাকনা দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে রান্না শেষ হয়ে যাবে। চুলা থেকে নামানোর আগে অল্প ধনেপাতা কুচি করে রান্না করা মাছের ডিমের ওপর ছড়িয়ে দিলে সুগন্ধ ছড়াবে। এরপর পরিবেশনের সময় সবার মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যেতে বাধ্য।
নোট: ১. মাছের ডিম ফ্রিজে না রেখে তরতাজা রান্না করে নেওয়াই ভালো। ২. মাছের ডিম রান্নার পর ঠান্ডা হয়ে গেলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই গরম গরম পরিবশেন করাই শ্রেয়।