ইন্দুবালা যেভাবে রেঁধেছিলেন চিংড়ির হলুদগালা ঝোল আর মানকচুবাটা
দুই বাংলাতেই সাড়া জাগিয়েছে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। এই উপন্যাসের কয়েকটি খাবারের রেসিপি তৈরি করে দেওয়ার জন্য কলকাতার ফুড ফরিস্তা চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী শর্মিলা বসু ঠাকুরকে অনুরোধ করেছিল ‘নকশা’। আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে লেখক কল্লোল লাহিড়ীর সঙ্গে একদিন আড্ডায় বসেছিলেন তিনি। গল্পচ্ছলে জানলেন বইটিতে উল্লেখ করা খাবারগুলোর পেছনের নানা তথ্য আর রেসিপি। ইন্দুবালার বিশেষ কিছু রেসিপি পাঠকদের জন্য রাঁধলেন শর্মিলা বসু ঠাকুর।
চিংড়ির হলুদগালা ঝোল
উপকরণ: ছোট চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, শর্ষের তেল ৪ টেবিল চামচ, কালিজিরা আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: চিংড়ি ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল দিন। গরম হলে কালিজিরা, দুটি কাঁচা মরিচের ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বের হলে মাছ দিন। সামান্য নেড়েচেড়ে পানি দিন। লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চিংড়ি বেশিক্ষণ সেদ্ধ করলে শক্ত হয়ে যায়। তাই নরম হয়ে এলেই কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন। খুব পাতলা ঝোল হবে।
মানকচুবাটা
উপকরণ: মানকচু ২০০ গ্রাম, শর্ষের তেল ৪-৫ টেবিল চামচ, নারকেল ১টির অর্ধেক, শর্ষে ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ।
প্রণালি: কচু ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তেল বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে শিলে বেটে নিন। ব্লেন্ডারেও ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তবে পাটায় বাটলে স্বাদ বেশি হবে। কাঁচা তেল মিশিয়ে ভালো করে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।