ঝোল বড়ার ঝোল, সে আবার কেমন রেসিপি

কঠোর পরিশ্রম শেষে যখন খেতে বসবেন, এই খাবারটি তখন অমৃত মনে হবে। রান্না করতে খুব যে বেশি পয়সা খরচ হবে তা–ও নয়। কিন্তু একবার রান্না করার পর মুখের স্বাদ মনেও গেঁথে যাবে। প্রাচীন এই বাঙালি রান্নাটিতে আছে নানা রকম পুষ্টিকর উপাদান। ঝোলের মধ্যেই বড়ি গড়ে এই রান্না করা হয়। কলকাতা থেকে খাবারটির রেসিপি দিয়েছেন রন্ধন গবেষক শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য

ঝোলের মধ্যেই বড়ি গড়ে রান্না হয় এই পদছবি: লস্ট অ্যান্ড রেয়ার রেসিপিসের সৌজন্যে

ঝোল বড়ার ঝোল

উপকরণ: কুমড়াপাতা এক মুঠো, মটর ডাল ২০০ গ্রাম, ডুমো করে কাটা আলু ২টি, বেগুন ১টি, পটোল, ঝিঙে, কুমড়োর ডাঁটা, শজনে ডাঁটা—সবই ডুমো ডুমো করে কাটা এক মুঠো পরিমাণ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, শুকনো মরিচ ৩টি, হলুদগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, কালিজিরা দেড় টেবিল চামচ, চিনি ২ চা–চামচ, শর্ষের তেল ৪ টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা মটর ডাল পরের দিন রান্নার আগে লবণ আর চিনি মিশিয়ে পিষে নিন। এবার চুলায় কড়াই দিয়ে তাতে পানি বসিয়ে দিন। পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে ১ চা–চামচ হলুদ দিন। এরপর আগে থেকে কেটে রাখা আলু ও শজনে ডাঁটা দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ফুটাতে হবে। এতে পাঁচ মিনিট পর পর যথাক্রমে পটোল, বরবটি, কুমড়া, বেগুন, কুমড়ার ডাঁটা এবং অল্প কুমড়াশাক, ঝিঙে আর লবণ দিয়ে নেড়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রান্না করতে হবে। ঢাকনা খুলে কয়েকটি কাঁচা মরিচ মাথা ভেঙে দিয়ে দিন। এরপর মটর ডালের মিশ্রণটি ফুটন্ত ঝোলের মধ্যে অল্প অল্প করে বড়ার আকারে দিতে হবে। বড়াগুলো একটু ফাঁকা ফাঁকা করেই ঝোলের ওপর ছাড়তে হবে। এবার পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। ঢাকনা খুলে আরও কয়েকটি বড়া দিয়ে ৫–৭ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার ৪ টেবিল চামচ পরিমাণ শর্ষের তেলে শুকনো মরিচ, কালিজিরা দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন আর সবজির ঝোল অল্প অল্প করে ৫ মিনিট নেড়ে নামিয়ে নিন।

আরও পড়ুন