যে পাঁচ ‘নিরামিষে’ ভরপুর আমিষ
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নিরামিষপ্রেমীর সংখ্যা। আর কোভিডের পর পরিবেশবাদীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিরামিষাশীর সংখ্যা। এখানে নিরামিশাষী বলতে যাঁরা খাবারের জন্য কেবল উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল, তাঁদের বোঝানো হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো, নিরামিষাশীরা কিন্তু দুধ, ডিম, ঘি আর মধুও খান। হেলথলাইন অনুসারে জেনে নেওয়া যাক প্রোটিনে ভরপুর উদ্ভিজ্জ পাঁচ খাবার।
১. মসুর ডাল
কমবেশি সব ডালেই আমিষ থাকে। তবে সব ডালের ভেতর প্রোটিনের হিসেবে মসুর ডাল যেন রাজা। ১ কাপ মসুর ডালে ১৬ গ্রামের মতো প্রোটিন পাওয়া যায়। অন্যান্য ডালের তুলনায় এই ডাল সেদ্ধ হয়ও দ্রুত। ভেজ বার্গারে বাদামি মসুর, সালাদে সবুজ মসুর ডাল এবং মসলাদার তরকারিগুলোতে লাল মসুর ব্যবহার করতে পারেন। আর মসুর ডালের বড়া কার না প্রিয়!
২. কুমড়ার বীজ
আপনি কি জানেন, কুমড়ার চেয়ে কুমড়ার বিচি অধিক পুষ্টিকর? ৩০ গ্রাম কুমড়োর বীজে ৮ গ্রামেরও বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া কুমড়ার বীজ আয়রন, দস্তা, তামা, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও সেলেনিয়ামের ভালো উৎস। তাই কুমড়া রান্না করে বীজগুলো ফেলে দেবেন না। বরং শুকিয়ে তুলে রাখুন। বিকেলের নাশতায় ভেজে খেতে পারেন।
৩. পালংশাক ও ব্রকলি
কিছু কিছু সবজিতে একটু বেশি মাত্রায় প্রোটিন থাকে। যেমন পালংশাক, ব্রকলি। এ ছাড়া অঙ্কুরিত ছোলা, মাশরুম, মটরশুঁটি, কাঁঠালের বিচি, ভুট্টাও প্রোটিনের ভালো উৎস। পালং শাক মসুর ডাল দিয়ে রান্না করে খেতেও দারুণ।
৪. সয়া
সয়াবিনের বড়ি ভুনা নিরামিষশীদের ভেতর খুবই জনপ্রিয়। অনেকে এটাকে বলেন সয়া নাগেট। খাবার টেবিলে সয়া থাকলে ভালো মাত্রার প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। যাঁরা দুধ বা ডিম কোনোটাই খেতে চান না, তাঁদের খাবারে দৈনিক পাঁচমিশালি ডাল, টফু, সয়া প্রোটিন, মাশরুম অবশ্যই রাখতে হবে।
৫. বাদাম
কাঠবাদাম, কাজু, পেস্তা, আখরোট—এসব বাদাম প্রোটিনসমৃদ্ধ। ৩৫ গ্রাম কাঠবাদামে থাকে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন।
প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে দৈনিক কমপক্ষে ১ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, যাঁর ওজন ৫০ কেজি, তাঁকে দিনে ৫০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে। তাই যাঁরা হঠাৎ করে প্রাণিজ আমিষ ছেড়ে কেবল নিরামিষ খেতে শুরু করবেন, তাঁদের অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।