লাভ অ্যাট ফার্স্ট বাইট! একদম তা–ই। প্রথম দেখায় প্রেম ব্যাপারটা যেমন, চকলেট কেকে প্রথম কামড়ের অনুভূতিও ঠিক তেমনই।
এই যেমন একজন চকলেট কেকপ্রেমী সেদিন বলছিলেন, কেক বলতে তিনি চকলেট কেকই বোঝেন। ‘আস্ক ইয়োর টার্গেট মার্কেট’–এর একটি জরিপও সে রকমই বলছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৪ শতাংশের কাছে চকলেট কেক প্রিয়। জরিপটা বেশ পুরোনো। অবশ্য তাতে কিছু এসে যায় কি! বিশ্বব্যাপী যেভাবে এই কেকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তাতে নতুন জরিপ হলে পছন্দের পরিসংখ্যানগত অঙ্কটি যে বরং বাড়বে, তা বোধ হয় নিঃসংশয়েই বলে দেওয়া যায়।
জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, বিদায় অনুষ্ঠান, নববর্ষ, নতুন চাকরি—সব উদযাপনেই কেকের সগর্ব উপস্থিতি। আর অধিকাংশ মানুষের কাছেই কেক মানে চকলেট কেক।
সবার কেন এত পছন্দ চকলেট কেক?
হয়তো বলতেই পারেন, পছন্দের আবার কারণ লাগে নাকি! তা হয়তো লাগে না। কিন্তু ব্যাপার তো কিছু আছেই। প্রধান ব্যাপার অবশ্যই স্বাদের ভিন্নতা। আরেকটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, কেকে থাকা চকলেট সেরোটোনিন ও এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। দুটোই ‘হ্যাপি হরমোন’। আমাদের মেজাজ, ভালো লাগা, অনুভূতি প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে এসব হরমোন। অর্থাৎ চকলেট কেক খেলে মনের ভেতর একধরনের সুখানুভূতি তৈরি হয়। বিগড়ে থাকা মেজাজ মুহূর্তে ভালো হয়ে যায়। মানসিক চাপ, হতাশা, দুশ্চিন্তা কেটে যায়। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, চকলেট কেক বিপাকক্রিয়ায়ও সাহায্য করে। ভালো রাখে হৃদ্যন্ত্র। এমনকি দাঁত ও ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রেও এর অবদান আছে।
আজ ২৭ জানুয়ারি, চকলেট কেক দিবস। দিনটি ইউরোপ ও আমেরিকায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। হালে আমাদের দেশেও চকলেট ও কেক, দুটোই হয়ে উঠেছে প্রেম ও উৎসবের প্রতীক। ফলে এই দুইয়ের সম্মিলিত খাদ্যরূপ চকলেট কেকের সমাদরও দারুণ। ফলে দিনটি পালন করা যেতেই পারে। জন্মদিন কিংবা বিবাহবার্ষিকীর মতো বিশেষ কোনো দিন থাক বা না থাক, চকলেট কেক দিবস হিসেবেই নাহয় আজ একটা চকলেট কেক কাটা হয়ে যাক।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে