ভাত দিয়ে খেতে মজা, এমন দুটি পদের রেসিপি
ভাতের ওপরে কিছু নেই। এই গরমে ভাতের সঙ্গে ভর্তা বা টকজাতীয় সবজি খেয়ে স্বস্তি পাওয়া যাবে। রেসিপি দিয়েছেন ফারাহ্ সুবর্ণা
পোড়া রসুনের ভর্তা
উপকরণ: বড় রসুনের কোয়া ১৬টি, শুকনা মরিচ স্বাদমতো, বড় পেঁয়াজ ১টি (মিহি কুচি), লবণ স্বাদমতো, শর্ষের তেল বা আচারের তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতাকুচি অল্প পরিমাণে (ঐচ্ছিক)।
প্রণালি: কড়াইতে তেল ছাড়া খোসাসহ রসুনের কোয়াগুলো কম আঁচে টেলে নিতে হবে। একটু পোড়া পোড়া হবে এবং রসুনও সেদ্ধ হয়ে যাবে। শুকনা মরিচও টেলে নিন। এবার রসুনের খোসা ছাড়িয়ে শুকনা মরিচ, পেঁয়াজকুচি, লবণ ও তেল দিয়ে মেখে ভর্তা করে নিতে হবে। চাইলে আপনি পেঁয়াজ হালকা ভেজে নিতে পারেন। সঙ্গে অল্প করে ধনেপাতাকুচিও মেখে নিতে পারেন। সাদা ভাত, খিচুড়ি, খুদের ভাতের সঙ্গে এই রসুনভর্তা অনবদ্য।
কচুমুখির টক
উপকরণ: কচুমুখি আধা কেজি, পানি পরিমাণমতো, তেল ১ টেবিল চামচ, ছোট চিংড়ি একমুঠো, কাঁচা আম বা তেঁতুলের ক্বাথ স্বাদমতো, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচগুঁড়া স্বাদমতো, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, ধনেপাতাকুচি অল্প পরিমাণে, চিনি সামান্য, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: কচুমুখি সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। হালকা করে ভেঙে নিতে হবে। সঙ্গে পরিমাণমতো (কতটা ঘনত্ব আপনি চান, সেই মতো পানি দেবেন) পানি মিশিয়ে নিতে হবে। প্যানে তেল দিয়ে তাতে চিংড়ি, হলুদ, শুকনা মরিচগুঁড়া, জিরার গুঁড়া, লবণ দিয়ে ৩–৪ মিনিট কষিয়ে নিন। সেদ্ধ কচুমুখি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে স্বাদমতো কাঁচা আম বা তেঁতুলের ক্বাথ আর কাঁচা মরিচ ফালি করে মিশিয়ে দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। ঘন হয়ে এলে ধনেপাতাকুচি ও সামান্য চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।