এই চায়ের দাম কেজিপ্রতি লাখ টাকার বেশি
কথায় বলে, শখের দাম লাখ টাকা। তবে লাখ টাকা দামের শখ বলতে সাধারণত বাড়ি, গাড়ি কিংবা গয়না—এসবই বোঝায়। এসব বাদে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যে চায়ের কাপে চুমুক দেন, কিংবা ক্লান্ত বিকেলে যে চা আপনাকে প্রশান্তি দেয়, সেই চায়ের দাম যখন লাখ টাকা হয়ে যায়, তখন চোখ ছানাবড়া হওয়ারই কথা। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে পাশের দেশ ভারতে।
ভারতের চা–সংস্কৃতি বেশ ঐতিহ্যবাহী এবং বৈচিত্র্যে ভরপুর। দেশটির দার্জিলিং, আসাম এবং নীলগিরির টিলায় টিলায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চা উৎপন্ন হয়।
ভারতীয় বাসাবাড়িতে পানীয় হিসেবে চায়ের মর্যাদা বেশ ওপরে। অতিথি এলে কিংবা পারিবারিক আড্ডায় সতেজ পানীয় হিসেবে চা পরিবেশন করা হয়। মানুষের পরিবর্তনশীল জীবনধারা ও পছন্দের সঙ্গে ঐতিহ্যগত ধারা ও আধুনিক উদ্ভাবন মিলে ভারতে চায়ের সংস্কৃতি প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী মসলা চা থেকে ইদানীং কালের আর্টিসানাল চা—ভারতের এই পানীয়র প্রতি মানুষের আকর্ষণ ও অনুরাগেরই প্রতিফলন।
সম্প্রতি ভারতের দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত মল রোডের চায়ের দোকান কেজিপ্রতি দেড় লাখ রুপিতে ‘প্রিমিয়াম টি’ বিক্রি করছে বলে খবরের শিরোনাম হয়েছে। এই খবর চা অনুরাগীদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে তুমুল আলোড়ন। সেই সঙ্গে প্রিমিয়াম চায়ের প্রাপ্তিস্থান হিসেবে দার্জিলিংয়ের খ্যাতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই চা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক ভিডিও নেটিজেনদের মধ্যে বেশ আলোড়ন ফেলেছে। পোস্টটি ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজারবার দেখা হয়েছে এবং তা নিয়ে আলোচনা চলছেই। কেউ কেউ চায়ের এই ‘অতি দামে’ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকেই দার্জিলিংয়ের প্রিমিয়াম চায়ের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে এই দামকে ভালোভাবে গ্রহণও করেছেন।
চায়ের লাখ টাকা দাম দেখে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। হতবাক হওয়াদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘এত দামি!’
আবার একজন বাড়তি এই দাম মেনে নিয়ে লিখেছেন, ‘দার্জিলিংয়ের চায়ে সব সময়ই “কিছু একটা” ছিল। এবং এটি নিয়ে যে মাতামাতি হয়, তা ন্যায্য।’
কেউ কেউ চায়ের গুণগত মানের চেয়ে এর উপস্থাপনকে বেশি দাম হওয়ার জন্য দায়ী করছেন। এই তর্কবিতর্কের মধ্যেই দার্জিলিংয়ের চায়ের মান এবং রঙের প্রতি মানুষের মোহও প্রকাশ পাচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া