বারবিকিউর আয়োজন করার আগে যা যা জানা জরুরি
শীতের রাতে অনেক বাড়ির ছাদেই বারবিকিউয়ের আয়োজন করা হয়। এ আর নতুন কী। তবে এবারই প্রথম যাঁরা বাড়ির ছাদে বারবিকিউর আয়োজন করছেন, তাঁদের কাছে কাজটি সহজ করতে থাকছে কিছু পরামর্শ।
ছাদে বারবিকিউ করার জন্য অনেকেই চুলা কিনে থাকেন। এক দিনের এই আয়োজনের জন্য আলাদা করে চুলা কেনার কোনো দরকার নেই, এমনটাই জানালেন স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের কাবাব কারিগর আবুল কালাম। বারবিকিউর জন্য ছাদের দুই পাশে উঁচু করে ইট বসিয়ে নিলেই হলো। কয়লার পোড়া দাগ এড়াতে দুই পাশের ইটের মাঝখানে ইট দিয়ে তার ওপর কয়লা রাখুন। কয়লায় সামান্য কেরোসিন ঢেলে আগুনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বারবিকিউর মাংসে পরিমাণমতো মসলা মিশিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শিকে গেঁথে চুলার ওপর রেখে দিন। বাজারে কাবাব গাঁথার শিক কিনতে পাওয়া যায়। ৫ থেকে ১০ মিনিট পরপর ব্রাশের সাহায্যে মাংসের ওপর সয়াবিন তেল মেখে উল্টে দিন। মাংসের রং খয়েরি হয়ে এলে নামিয়ে নিতে পারেন। আগুন যাতে নিভে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য হাতপাখার বাতাসই যথেষ্ট।
ছাদে বারবিকিউ পার্টি করতে চাইলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি, এমনটাই বললেন রান্নাবিদ কল্পনা রহমান। শীতের দিনে বাতাস বেশি থাকে, তাই বারবিকিউ করার সময় আগুনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে পানির ট্যাংক, পানির পাইপ কিংবা গ্যাসের লাইন থেকে দূরে বারবিকিউর চুলা বসাতে হবে। চুলার পাশে অবশ্যই পানির ড্রাম রাখতে হবে। আগুন জ্বালানোর জন্য ফ্যান ব্যবহার না করে হাতপাখা ব্যবহার করা ভালো। ফ্যানের বাতাসে জ্বলন্ত কয়লা ছিটকে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হাতপাখা ব্যবহার করলে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বারবিকিউ পার্টিকে কেন্দ্র করে শিশুরা চারদিকে ছোটাছুটি করবে, তাই ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই সম্ভব হলে চারদিকে নিরাপত্তাবেষ্টনী টানিয়ে নিন।