যেভাবে রান্না করলে করলা তেতো লাগবে না
গরমে স্বস্তি দেবে করলা বা উচ্ছে। শরীর রাখবে সুস্থ। পুষ্টিবিদের তথ্যমতে, প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলো ক্যালরি, ৯২ দশমিক ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম লোহা ও ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তবে এই উচ্ছে বা করোলা অনেকে খেতে চান না। কারণ, করলা খেতে তেতো। তবে ঠিকমতো রান্না করতে পারলে করলা বা উচ্ছের তেতো ভাব কমিয়ে আনা যায়। ভাতের সঙ্গে খাওয়ার সময় মোটেও তোতো লাগবে না।
রান্নাবিদ সিতারা ফিরদৌস জানান, ‘করোলা যত নাড়াচাড়া কম হবে ততই ভালো। করলা বা উচ্ছে বেশি ঘাঁটলেই তেতো হয়ে যায়। অনেকে করলা শুকিয়ে সারা বছরের জন্য সংরক্ষণ করেন। সে ক্ষেত্রে চাক চাক করে কেটে একটি পাত্রের ওপর রেখে, তার ওপরে একটি কালো পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রোদে শুকাতে হবে। এতে করলার রং পরিবর্তন হবে না।’
চলুন, জেনে নিই করলা বা উচ্ছের তেতো ভাব কাটানোর কিছু টিপস
করলা কাটার আগে ধুয়ে নিন। কাটার পরে হাত দিয়ে বেশি কচলে নেওয়ার দরকার নেই। রান্নার আগে ধুয়ে নিলেই হবে।
করলা কেটে লবণ মেখে রাখলে তেতো ভাব কাটে। তাই কাটা করলায় লবণ মেখে ২০ মিনিট রেখে দিন। পানি ঝরে তেতো ভাব অনেকটা কমে যাবে। রান্নার আগে আলতো করে ধুয়ে তুলে নিন।
করলা যত পাতলা করে কাটবেন, ততই দ্রুত রান্না হবে। তাই ভাজার জন্য করলা কাটলে অবশ্যই পাতলা করে কাটার চেষ্টা করুন। এতে করলা বেশি সময় নাড়তে হবে না।
করলাভাজি করতে হলে সঙ্গে কয়েকটা আলু কুচি করে কেটে দিতে পারেন। এই আলুর কারণেও করলার তেতো ভাব কমে যাবে।
করলা রান্নার জন্য লোহা বা পিতলের কড়াই ব্যবহার করা যাবে না। এতে করলা তেতো লাগবে। সবচেয়ে ভালো অ্যালুমিনিয়ামের কড়াইতে রান্না করা। এ ছাড়া ননস্টিক ফ্রাই প্যানেও রান্না করতে পারেন।
করলা রান্নার সময় বেশি নাড়া যাবে না। সেই সঙ্গে ঢাকনা দিয়ে ঢেকেও রাখা যাবে না। ঢেকে রান্না করলে করলা তেতো হয়।