২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মাথা ঠান্ডা রাখা, হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিসহ যেসব উপকার মেলে শাপলা ডাঁটা খেলে

লাল শাপলা বিক্রির অপেক্ষায় একজন বিক্রেতা
ছবি: প্রথম আলো

এই মৌসুমে অনেকেই শাপলা ডাঁটা খেতে পছন্দ করেন। সবজি হিসেবে গ্রামের মতো শহরেও এর জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে। দেশের প্রায় সর্বত্র শাপলা ডাঁটা পাওয়া যায়। সহজলভ্য শাপলা ডাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলা লতায় ১ দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১ দশমিক ১ গ্রাম আঁশ, ৩ দশমিক ১ গ্রাম ক্যালরি ও প্রোটিন, ৩১ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৭, ফসফরাসও মেলে শাপলা ডাঁটায়। বলা হয়ে থাকে, আলুর চেয়েও সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে শাপলা ডাঁটায়।

শাপলা ডাঁটায় থাকা খাদ্য উপাদানের উপকারিতা

আঁশ: ফাইবার বা আঁশ শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এটি। দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। শাপলা ডাঁটা আঁশের ভালো একটি উৎস।

আরও পড়ুন
শাপলাডাঁটা দিয়ে বেলে মাছের ঝোল
ছবি: সুমন ইউসুফ

প্রোটিন: ত্বক, চুল, নখ, হাড় সচল রাখতে প্রোটিন ভীষণ প্রয়োজন। দেহের ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধি সাধন, নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে প্রোটিন, যা শাপলা ডাঁটায় পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম: শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত করতে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া মাংসপেশি গঠন, শরীরের বিকাশে সহায়তা করে। শাপলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।

ভিটামিন সি: শরীরের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভিটামিন সি। দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সবল করতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। শাপলা ডাঁটায় ভিটামিন সি রয়েছে।

ভিটামিন বি১: গ্লুকোজ বিপাকের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হচ্ছে ভিটামিন বি১। এ ছাড়া এটি পেশি, স্নায়ু এবং হার্টের কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শাপলা ডাঁটায় আপনি যা পাবেন।

ভিটামিন বি৭: ভিটামিন বি৭ বায়োটিন নামেও পরিচিত। এটি জলীয় দ্রবণীয় ভিটামিন, যা শরীরের বিপাক এবং কার্যক্ষমতার জন্য দরকার।

ফসফরাস: আমাদের দেহের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পাদন করে ফসফরাস। শাপলা ডাঁটা ফসফরাসের কার্যকারিতায় বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন
শাপলাডাঁটার বড়া
ছবি: সুমন ইউসুফ

সুস্বাস্থ্যের জন্য শাপলা ডাঁটা

মাথা ঠান্ডা রাখে: শাপলায় রয়েছে ফ্ল্যাভোনল গ্লাইকোসাইড, যা মাথার রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এতে মাথা ঠান্ডা হয়। তাই যাদের ঘনঘন মাথা গরম হয়, তাঁরা শাপলা ডাঁটা খেতে পারেন।

হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা: যাঁরা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা শাপলা ডাঁটা খেতে পারেন। এটি হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে: রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে শাপলার কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।

যকৃৎ ভালো রাখতে: মানবশরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যকৃৎ। যকৃৎ শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজ করে থাকে। আয়রন ও গ্লাইকোজেন সঞ্চয় করে। দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে থাকে। তাই যকৃতের সুস্থতায় শাপলা ডাঁটা খেতে পারেন।

হজমে সহায়তা: যাঁদের হজমে সমস্যা রয়েছে, তাঁরা শাপলা ডাঁটা খেতে পারেন। এ ছাড়া আমাশয় বা পেট ফাঁপাজনিত সমস্যায় শাপলা ডাঁটা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।