আইসক্রিমের এসব উপকারিতার কথা কি জানতেন
সামনে আইসক্রিম, চোখ তো চকচক করবেই। তবে অনেকে আবার ভয়ে আইসক্রিমের আশপাশেও ঘেঁষেন না; ঠান্ডা লেগে যাবে যে! তা ছাড়া আইসক্রিমের চিনি ও চর্বিও যে অনেকের বড় শত্রু। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেন যে আইসক্রিম সব সময় ক্ষতিকর নয়। এরও আছে বেশ কিছু উপকারিতা। চলুন, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই তা জানা যাক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি কাপের দুই-তৃতীয়াংশ আইসক্রিম এক দিনের জন্য ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এতে ক্যালসিয়ামের রোজকার চাহিদার ১২ শতাংশই পূরণ হয়। যদিও কোম্পানিভেদে আইসক্রিমে বিদ্যমান ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম–বেশি হতেই পারে। তবে যাঁরা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আইসক্রিম খান না, তাঁরাও মাঝেমধ্যে চেখে দেখতে পারেন।
শুধু ক্যালসিয়াম নয়, আইসক্রিমে আছে প্রোটিন। প্রতিটি আইসক্রিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। একটি সেদ্ধ ডিম কিংবা প্রায় ২৮ গ্রাম কাঠবাদামেও ঠিক একই পরিমাণ প্রোটিন থাকে।
যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের জন্য এটা সুখবর বটে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিষ্টির বিকল্প হিসেবে মাঝেমধ্যে আইসক্রিম খাওয়া চলে। কারণ, আইসক্রিমের চর্বি ও প্রোটিন চিনির সঙ্গে যুক্ত হলে রক্তে শর্করার বাড়বাড়ন্ত কমায়। কম চর্বিযুক্ত মিষ্টি খেলেও একই ঘটনা ঘটে।
বাজারের আইসক্রিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকলে করণীয় কী?
আপনি কি নিজে বাসায় আইসক্রিম বানিয়ে খাবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এতটা কষ্ট না করলেও চলে। কারণ, আমরা সব খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য বা পুষ্টির জন্য খাই না। কিছু খাবার খাই মন ভরাতেও। আইসক্রিম খেতে হবে ওই তৃপ্তির জন্যই। তাতে পুষ্টি যতটা থাকবে, তা–ই আপনার লাভ। তবে বেশি লাভ খুঁজতে গিয়ে প্রতিদিন আইসক্রিম খাওয়ার পরামর্শ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা দেননি।
সপ্তাহে যেকোনো এক দিন আপনি আইসক্রিম খেতে পারেন। শুক্রবার সাধারণত সবারই ছুটি থাকে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে হওয়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগ। এমন ছুটির দিনে সবাই মিলে একসঙ্গে আইসক্রিম খেতেই পারেন।
আর নিজে আইসক্রিম বানালে তো কথাই নেই। তবে সে ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, শুধু পুষ্টির মান ঠিক আছে, স্বাদ নেই। পুষ্টি বাড়াতে দুধ, বাদাম, স্ট্রবেরি, কলা ইত্যাদি মেশানো গেলেও স্বাদে হয়তো সেটা বাজারের আইসক্রিমকে টেক্কা দিতে পারবে না। অর্থাৎ ঘরে বানানো আইসক্রিম খেয়ে যদি মনই না ভরে, তাহলে বেগাড় খাটুনি খেটে লাভ কী? ভয় ঝেরে ফেলে বাজারেরটাই খান।
সূত্র: ইয়াহু