আমাদের গর্ব, আমাদের পদ
বাংলাদেশের বেশ কিছু খাবার পণ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেনটিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ইলিশ মাছ, বাগদা চিংড়ি আর তুলসীমালা ধান দিয়ে বানানো কয়েকটি পদ আর রসমালাইয়ের রেসিপি নিয়ে এই আয়োজন। রেসিপি দিয়েছেন অসিত কর্মকার
শর্ষে ইলিশ
উপকরণ
ইলিশ মাছ ৮ টুকরা, শর্ষেবাটা ৫ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা পেস্ট ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, কালিজিরা আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি অল্প পরিমাণ, শর্ষের তেল আধা কাপ।
প্রণালি
শর্ষের তেল ছাড়া অন্য সব উপকরণ ভালোভাবে মেখে নিন। প্যানে সব দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। পানি কিছুটা শুকিয়ে মাখো মাখো হয়ে এলে কাঁচা মরিচ ও শর্ষের তেল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
তুলসীমালা চালের পোলাও
উপকরণ
তুলসীমালা চাল ৫০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ৪–৫টি, পেঁয়াজকুচি ২–৩টি, তেজপাতা ২–৩টি, দারুচিনি ৪–৫ টুকরা, এলাচি ৪–৫টি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, গরম পানি ১ লিটার, লবণ স্বাদমতো, ঘি আধা কাপ, তেল আধা কাপ, তরল দুধ ও চিনি স্বাদমতো।
প্রণালি
একটি সসপ্যানে তেল দিয়ে সব রকমের গোটা ও বাটা মসলা দিয়ে দিন। আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাল দিন। ভালোভাবে নেড়ে ভাজা ভাজা করুন। এবার এতে গরম পানি, তরল দুধ, স্বাদমতো লবণ ও চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে এলে ১০ মিনিট দমে রাখুন। ঢাকনা তুলে ঘি ছড়িয়ে নেড়ে দিন। নামিয়ে পরিবেশনপাত্রে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
নারকেল চিংড়ি
উপকরণ
বাগদা চিংড়ি ১০টি, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৬টি, গরমমসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, নারকেলবাটা ১ কাপ, তেল আধা কাপ, ধনেপাতাকুচি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪ থেকে ৫টি, চিনি সামান্য, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
লবণ ও এক চিমটি হলুদগুঁড়া দিয়ে মেখে চিংড়িগুলো। একটি প্যানে ২ চা-চামচ তেলে ভেজে নিন। তেল থেকে চিংড়ি উঠিয়ে নিন। একই প্যানে গরমমসলার গুঁড়া ছাড়া অবশিষ্ট তেল ও অন্য সব মসলা দিয়ে দিন। ভালোভাবে কষিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার ভাজা চিংড়ি, লবণ, কাঁচা মরিচ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ৮ থেকে ১০ মিনিট রান্না করে চিনি, ধনেপাতাকুচি, ঘি ও গরমমসলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
রসমালাই
মিষ্টির উপকরণ
ছানা ১ কাপ, ময়দা ২ চা-চামচ, সুজি ১ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, বেকিং পাউডার সামান্য, গুঁড়া দুধ ২ চা-চামচ, এলাচিগুঁড়া সামান্য, ঘি ১ চা-চামচ।
শিরার উপকরণ
২ কাপ চিনি ও ৫ কাপ পানি।
মালাইয়ের উপকরণ: তরল দুধ ৫ কাপ, গুঁড়া দুধ ৪ টেবিল চামচ, কনডেন্সড মিল্ক ২ টেবিল চামচ, গরম পানি আধা কাপ।
প্রণালি
ছানার পানি ঝরিয়ে হাতের তালু দিয়ে ভালো করে মথে নিন। এর সঙ্গে মিষ্টি বানানোর অন্য উপকরণ মিশিয়ে আবার ভালো করে মথে নিন। রসমালাইয়ের জন্য ছোট ছোট বল আকারে মিষ্টি বানিয়ে নিন।
শিরার উপকরণের সব কটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ফোটাতে শুরু করুন। ফুটে এলে মিষ্টির বলগুলো দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট বেশি তাপমাত্রায় জ্বাল দিন। আধা কাপ গরম পানি দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
মালাই বানানোর জন্য দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। গুঁড়া দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। শিরা থেকে রসমালাইগুলো উঠিয়ে গরম দুধে তিন থেকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু রসমালাই।