৩৪ হাজারের বেশি বার্গার খেয়েছেন তিনি
নাম তাঁর ডোনাল্ড গর্সকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিককে ভোজনরসিক বলতেই হয়। জীবনে ৩৪ হাজারের বেশি বার্গার খেয়েছেন তিনি। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতে, এত বেশি বার্গার খাওয়ার রেকর্ড আর কারোই নেই গোটা পৃথিবীতে। অবশ্য যেকোনো বার্গার নয়, কেবল ম্যাকডোনাল্ডসের ‘বিগ ম্যাক’ বার্গারই নিয়মিত খান ডোনাল্ড।
১৯৭২ সালের মে মাসে ডোনাল্ডের এই বার্গার-যাত্রা শুরু, জীবনে প্রথম গাড়িটির মালিক হওয়ার পর থেকে। গাড়ি চালিয়ে তিনি সোজা চলে গিয়েছিলেন ম্যাকডোনাল্ডসে। সেখান থেকে তিনখানা বিগ ম্যাক বার্গার নিয়েছেন। গাড়িতে বসেই খেয়েছিলেন সেই বার্গার। এতই ভালো লেগে গিয়েছিল যে মনে মনে বলেছিলেন, ‘এখন থেকে সম্ভবত গোটা জীবনই এই খাবার খেতে যাচ্ছি আমি।’ সেই সময় এক দিনে নয়টি বার্গারও খেয়েছেন!
রেকর্ডের দুনিয়ায়
১৯৭২ সাল থেকেই প্রতিদিন গড়ে দুটি করে বার্গার খেয়ে আসছেন ডোনাল্ড। সবচেয়ে বেশি বিগ ম্যাক বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়ে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পান ১৯৯৯ সালে। তবে তিনি তো বার্গার খান ভালোবেসে। তাই রেকর্ড গড়ার পরও নিজেকে গুটিয়ে নেননি। ডোনাল্ডের বার্গার খাওয়া চলছে আজও। জীবনে যত বার্গার খেয়েছেন, সব কটির মোড়ক ও রসিদও সংরক্ষণ করে রেখেছেন। সে-ও এক বিশাল সংগ্রহশালা বটে! ক্যালেন্ডারে দাগ কেটেও রাখা আছে বার্গারের হিসাব।
প্রেমেও বার্গার
এমন বার্গারময় যাঁর জীবন, তাঁর প্রেমের গল্পেও যে বার্গার থাকবে, সেটা তো স্বাভাবিক। বার্গার পছন্দ করেন বলে ভালোবাসার মানুষ ম্যারি গর্সকে তাঁকে ‘সারপ্রাইজ’ হিসেবে বার্গার উপহার দিয়েছেন কখনো কখনো। তবে সম্পর্কের শুরুতে অবশ্য ম্যারি আন্দাজ করতে পারেননি, বার্গারের প্রতি সঙ্গীর এই ভালোবাসা রয়ে যাবে জীবনজুড়েই।
সুস্থতার প্রশ্নে...
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এত বার্গার খেয়ে লোকটা কি আদৌ সুস্থ জীবন যাপন করতে পেরেছেন? বিস্ময়কর হলেও সত্যি, নিয়মিত এত বার্গার খেয়েও তিনি বেশ সুস্থ একজন মানুষ। কারণ, তিনি রোজ বার্গার খেলেও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখেন। মূল খাবারের পাশাপাশি ‘নাশতা’ হিসেবে তিনি বার্গার গ্রহণ করেন না, বরং বার্গারই তাঁর মূল খাবার। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এড়িয়ে চলেন। কর্মঠ জীবন যাপন করেন। রোজ হাঁটেন প্রায় ছয় মাইল।
উপহার আসছে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে
বার্গারের প্রতি এই ভালোবাসা ডোনাল্ড ছড়িয়ে দিতে চান প্রজন্মান্তরে। নাতনি সেরেনার সঙ্গে তাঁর একটা ছবি রয়েছে, যেখানে ছোট্ট সেরেনা জীবনে প্রথমবারের মতো বিগ ম্যাক বার্গার খাচ্ছে। বার্গারের প্রতি ডোনাল্ডের অনবদ্য ভালোবাসার কথা জানতে পেরে পৃথিবীর অনেক জায়গা থেকে অচেনা মানুষেরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ম্যাকডোনাল্ডসের ‘স্যুভেনির’ বা স্মারক উপহার পাঠিয়েছেন। সেগুলোর অধিকাংশই বহু দশকের পুরোনো, ‘ভিন্টেজ’ স্মারক। এগুলো তো ডোনাল্ড গর্সকের সংগ্রহেই মানায়, তা–ই নয় কি?
সূত্র: গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস