ঢাকায় উদ্যাপিত হলো ‘ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে’
আজ ছিল শেফদের দিন। অভিজ্ঞ থেকে শুরু করে শিক্ষানবিশ শেফ, সবাই এক হয়েছিলেন এক বিশেষ আয়োজনে; ঢাকার ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে।
‘ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে ২০২৪: গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অ্যান্ড ইনস্পিরেশনাল অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি’ শীর্ষক এ আয়োজনটি করেছিল আন্তর্জাতিক কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই)।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শেফদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী। আইসিআই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও মাস্টারশেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শেফ কোর্স করাই। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়েই দিনটি উদ্যাপন করি। এ বছর ৬৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত হলো এই মিলনমেলা। এরা সবাই ভবিষ্যতে শেফ হবে। বাংলাদেশের শেফরা সারা বিশ্বে সুনামের সঙ্গে কাজ করেন। এই অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষার্থীরা যেমন বিখ্যাত শেফদের সঙ্গে আলাপের সুযোগ পায়, তেমনি দেশের বাইরে কাজ করার ব্যাপারেও ধারণা পায়।’
মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন ফারজানা আফরীন। তিনি বলেন, ‘আমার যেহেতু শেফ হওয়ার জন্যই পড়াশোনা করি, তাই সারা বছরই ২০ অক্টোবরের জন্য আমাদের অপেক্ষা থাকে। এ দিনটিতে সবাই এক হয়, একটা মিলনমেলা হয়। সবার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। অনেক বড় বড় শেফ এসেছেন। আমরা তাঁদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়েছি। সবাই একটা কথাই জোর দিয়ে বললেন—পরিশ্রম করতে হবে। তবেই ভালো কিছু হবে।’
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। ফিতা কেটে তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। কালিনারি শিল্পে নতুন প্রজন্মের প্রতি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন তিনি।
এ ছাড়া দিনব্যাপী এই আয়োজনে নতুন প্রজন্মের শেফদের অনুপ্রেরণা দিতে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার। শেফদের জীবনচক্র নিয়ে প্রদর্শিত হয় নাটক—‘দ্য জার্নি অব আ শেফ’। গান ও র্যাফল ড্রর মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
আয়োজকেরা জানান, দেশের তরুণ শেফদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের শেফ তৈরিতে তাঁদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।