প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের বৃত্তি দিচ্ছে সরকার
প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি দিচ্ছে সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। যেসব প্রবাসীর সন্তান ২০২৪ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একাদশ বা সমমান অথবা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয়েছেন অথবা ২০২৩ সালের এইচএসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজে পড়ছেন, তাঁরা আবেদন করতে পারেন।
কেমন ফলাফল প্রয়োজন
এসএসসি বা সমমানের ক্ষেত্রে—বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৫.০০, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ–৪.৭৫
এইচএসসি বা সমমানের ক্ষেত্রে—বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৪.৮০, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ–৪.৫০
প্রবাসে যেসব কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের সন্তানেরা যেকোনো বিভাগ থেকে জিপিএ–৪.০০ পেলেই চলবে।
বৃত্তির ধরন
মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে বৃত্তিপ্রাপ্তরা পরবর্তী দুই বছর (যাঁরা উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছেন) এবং ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ুয়ারা চার বছর বৃত্তির আওতায় থাকবেন। উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে যাঁরা এই শিক্ষাবৃত্তি পাবেন, তাঁদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৩ থেকে ৪ বছর এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ৫ বছর এই সুযোগ দেওয়া হবে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য এমন প্রবাসীদের সন্তানেরা এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে আর্থিক অনুদান পেয়েছেন বা পাবেন, এমন প্রয়াত প্রবাসী কর্মীর সন্তানেরাও বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন। এই আবেদন শুধু অনলাইনেই করা যাবে। আবেদনে উল্লেখ করতে হবে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের মোবাইল নম্বর। এ ছাড়া জমা দিতে হবে মা বা বাবার প্রবাসী কর্মী হওয়ার প্রমাণপত্র, শিক্ষার্থীর ছবি ও স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র। প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্টের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সনদের মা বা বাবার নামের মিল না হলে বা অন্য কোনো ভুল থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
অনলাইনে আবেদনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই ওয়েবসাইটে— www.wewb.gov.bd অথবা stipen.wewb.gov.bd/stipend।
আবেদনের সময়সীমা ২৫ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।